বিশ্বজিৎ নাথ, কলকাতা : সরস্বতী পুজোর দিন হাতেখড়ি অনুষ্ঠান নিয়ে রাজ্যপালকে ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। সোমবার মহাত্মা গান্ধীর মহাপ্রয়াণ দিবসে বারাকপুর গান্ধী ঘাটের প্রার্থনা সভামঞ্চে রাজ্যপালের জুতো পড়ে ওঠা নিয়েও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিতর্ক তৈরি হয়েছে উক্ত অনুষ্ঠানে রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের জুতো পড়া নিয়েও।

মহাত্মা গান্ধীর ৭৬ তম মহাপ্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে এদিন সকালে ব্যারাকপুর গান্ধীঘাটে প্রার্থনা সভায় যোগ দেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস, রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি, সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, জেলাশাসক সরদ দ্বিবেদী এবং ব্যারাকপুরের নগরপাল অলোক রাজোরিয়া-সহ প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা। রাজ্যপাল-সহ বিশিষ্টজনের উপস্থিতিতে রামধনু সঙ্গীত পরিবেশন করেন তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের শিল্পীরা।

আর সেই সময় জুতো পড়ে ওই অনুষ্ঠান শুনতে দেখা যায় সস্ত্রীক রাজ্যপাল ও সেচ মন্ত্রীকে। যদিও জুতো খুলেই মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌদ্ধতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল। তবে গান্ধীজীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর এদিন রাজ্যপাল সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের উত্তর দিলেন না। অনুষ্ঠান শেষে রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, “আমি প্রথম এসেছি। তাই বুঝতে পারিনি। রাজ্যপাল যেহেতু পায়ে জুতো পরেই উঠেছেন, আমিও তাকে অনুসরণ করেছি মাত্র।