স্পোর্টস ডেস্ক : জলজ্যান্ত নাটক একানা স্টেডিয়ামে। বল হাতে হার্দিক পাণ্ডিয়ার পাঁচ উইকেট—তবু শেষ হাসি হাসল লখনউ সুপার জায়ান্টস। শুক্রবার রাতের আলোয় উত্তেজনার পারদ ছুঁল চরমে। মিচেল মার্শ ও এডেন মার্করামের আগুনে ব্যাটিংয়ে ভর করে প্রথমে ২০৩ রান তোলে লখনউ। জবাবে শেষ বল পর্যন্ত লড়েও মুম্বই থামল ১৯১/৫-এ। ১২ রানের জয় তুলে নিয়ে চতুর্থ ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পেল সঞ্জীব গোয়েঙ্কার দল।
তবে আলোচনার কেন্দ্রে ঋষভ পন্থ। ২৭ কোটি টাকার দামে দলে এসেও একেবারে নিষ্প্রভ তিনি। এদিন মাত্র ২ রান করে ফিরলেন। ভঙ্গিমায় আত্মবিশ্বাসের অভাব স্পষ্ট। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও অধিনায়ক হিসাবে জিতিয়ে হাসি ফোটালেন দলের মালিকের মুখে।
ম্যাচের শুরুতেই চমক। রোহিত শর্মা চোটের জন্য না থাকায় মুম্বইয়ের ওপেনিংয়ে রায়ান রিকেলটনের সঙ্গী হন উইল জ্যাকস। কিন্তু প্রথম ওভারেই উইল ফেরেন আউট হয়ে। এরপর রিকেলটনকেও ফেরান শার্দূল ঠাকুর। ধসে পড়া ইনিংস সামলাতে এগিয়ে আসেন নমন ধীর ও সূর্যকুমার যাদব। বিশেষ করে নমনের ব্যাটিং ছিল প্রশংসাযোগ্য—৪৬ রানের ঝকঝকে ইনিংসে মুহুর্মুহু চাপ বাড়ান প্রতিপক্ষের ওপর।
কিন্তু সূর্যের আউট লাইন চেনাল। ১৭তম ওভারে অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে বল খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন সামাদকে। তার পর তিলকের ধীরগতির ব্যাটিংয়ে চাপ আরও বাড়ে। ১৯তম ওভারে নিজেই ‘রিটায়ার্ড আউট’ হয়ে যান তিনি। জল্পনা ছড়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়ে।
তার আগে লখনউর ইনিংসে একক আধিপত্য মার্শের। ৩১ বলে ৬০ রানের দাপুটে ইনিংস উপহার দেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার। তাঁকে ফিরিয়ে লাইন বদলান স্পিনার বিগ্নেশ পুতুর। এরপর মার্করামের ৫৩ রান ও বাদোনির ৩০ রানে ভর করেই ২০০ পেরোয় লখনউ। শেষ ওভারে দু’টি উইকেট তুলে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন হার্দিক।
তবু কপালে জোটেনি জয়। একানা স্টেডিয়ামের পিচ আগের মতো স্লো নয়, শিশিরের সুবিধায় ব্যাটিং সহজ হয়ে উঠছিল। সেই সুবিধা নিতে পারলেও বড় শট খেলতে পারেনি মুম্বইয়ের মিডল অর্ডার। হার্দিকের শেষ চেষ্টা, সূর্যর ইনিংস—সব মিলিয়ে আশার আলো জ্বালালেও ম্যাচ ঘুরে গেল একেবারে শেষে।
লখনউয়ের চিন্তা এখন পন্থকে নিয়ে। ব্যাট হাতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন তিনি। দল জিতলেও অধিনায়ক এখনও নিজেকে খুঁজে পাচ্ছেন না। পরের ম্যাচে সেটাই লখনউয়ের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।