কামদুনি কাণ্ডের রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন দুই প্রতিবাদী মৌসুমী ও টুম্পা কয়াল

বিশ্বজিৎ নাথ, কলকাতা, ৬ অক্টোবর’২৩ : ২০১৩ সালে কামদুনিতে হাড়হিম করা ঘটনা ঘটেছিল। এক কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগে গোটা বাংলা উত্তাল হয়ে উঠেছিল। শুক্রবার কামদুনি কাণ্ডের রায় ঘোষণা করলো করল কলকাতা হাইকোর্ট। রায় শুনে আদালত চত্বরেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন কামদুনির দুই প্রতিবাদী টুম্পা কয়াল ও মৌসুমী কয়াল।

Hearing the verdict in the Kamduni case the two protestors Moushumi and Tumpa Kayal broke down in tears

আজ কলকাতা হাইকোর্টে বেকসুর খালাস হয়ে গেল ছাত্রী খুনে অভিযুক্ত আমিল আলি। বাকি দুই অভিযুক্ত আনসার আলি মোল্লা ও শরিফুল আলি মোল্লাকে ফাঁসির বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আরও তিন অভিযুক্ত এমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর ও আমিনুল ইসলামকে এদিন মুক্তি দিল আদালত। প্রসঙ্গত, কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে মোট নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। প্রমাণের অভাবে দু’জন আগেই ছাড়া পেয়ে গিয়েছিল। মামলা চলাকালীন আরও এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালে কলকাতার নগর দায়রা আদালত বাকি ছয়জনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু হাইকোর্টের এদিনের রায়ের খুশি নয় গোটা কামদুনি-সহ নিহত ছাত্রীর পরিবার ও পরিজনেরা। এদিন রায় ঘোষণার পরই হাইকোর্ট চত্বরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতার মা, দাদা-ভাই ও কামদুনি আন্দোলনের অন্যতম দুই মুখ টুম্পা কয়াল ও মৌসুমী কয়াল। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে তারা জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *