সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২২ অক্টোবর : জলপাইগুড়ি বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ীর অতি প্রাচীন অষ্ট ধাতুর মূৰ্তি। কথিত আছে স্বয়ং ভবানী পাঠক মাকে পুজো করতেন । নিত্য পুজো হয়।প্রাচীন ও জাগ্রত মা কালী বলে এখনো রাজবাড়ির কালী মন্দিরে পুজো দিতে ভিড় করেন দূর দুরান্ত ও নিকটবর্তী ভক্তরা ।

বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ির কালী মুর্ত্তি বহু প্রাচীন মুর্ত্তি। এক সময় ভবানী পাঠক বেলাকোবার শিকারপুরে এই মুর্ত্তি পুজো করতেন। মায়ের ভয়ঙ্কর রুপ ছিল। দিনের বেলা এই মাকে দেখে ভয় পেতেন অনেকেই। সেখানে মায়ের নাম ছিল জয় মাকালী । মায়ের পায়ে এখনো লোহার শিকল পড়ানো আছে। বলে জানালেন মন্দিরের পুরোহিত শিবু ঘোষাল ।

সেই মুর্ত্তি রাজবাড়ির দুর্গা মন্দিরের পাশে লাল মন্দিরে স্থাপন করা হয়। এখনো সেই মন্দিরে ধারাবাহিক ভাবে অত্যন্ত নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে মায়ের পুজো হয়ে আসছে। তিনি আরও বলেন, মায়ের পুজো বৎসরে তিনবার বড় করে করা হয় । আষাঢ মাস, মহালয়া ও দীপান্বিতা কালীপুজোয় মায়ের বাৎসরিক পুজো বড় করে করা হয়। অত্যন্ত নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে মায়ের পুজো করা হয়। মায়ের দৈনন্দিন পুজোয় নিরামিষ ভোগ দেওয়া হয়। অমাবস্যাতে শুধু আমিষ ভোগ দেওয়া হয় । প্রত্যেক অমাবস্যায় অন্ন ভোগের সঙ্গে পাঁচ রকম মাছ এবং বলির যে মাংস তা ভোগ হিসেবে মাকে নিবেদন করা হয়। সংসারে সুখ ও সমৃদ্ধি লাভের জন্য ভক্তরা দূর দুরান্ত থেকে এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। এবারও পুজোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানান রাজ পুরোহিত ।