বিকাশ সরকার, হলদিবাড়ি, ৬ জুলাই’২৩ : দুদিন বাদেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। কিন্তু নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয়ের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন বাহিরচর এলাকার বাসিন্দারা। তিস্তার প্রবল ভাঙ্গনে ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ৩০ থেকে ৩৩টি বাড়ি এবং নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বিঘার পর বিঘা জমি। এছাড়াও ভাঙ্গনে তলিয়ে গেছে একটি স্কুল। এমনই ঘটনা চোখের সামনে দেখে ভোট দেওয়া তো দূরের কথা রাত পোহালে কি করবেন ভেবে দিশাহীন।

এমনই ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বোয়ালমারী নন্দনপুর অঞ্চলের বাহিরচর এলাকায়। বেশ কয়েকদিন থেকে নদী ভাঙ্গনে সর্বহারা হয়ে অন্যত্র বাড়ি সরিয়ে আনছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাই এই মুহূর্তে তাদের কাছে ভোটের চাইতেও জীবন লড়াইটা অনেকটাই বেশি বলে মনে করছেন অনেকেই। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য জিতেন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ৩৩ টি বাড়ি ইতিমধ্যেই নদী গর্ভে চলে গেছে আরো ভাঙ্গার সম্ভাবনা রয়েছে এবং বুথকেন্দ্রটিও নদীগর্ভে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আদও ভোট হবে কিনা সেই চিন্তায় রয়েছেন তারা। তিনি আরো বলেন, যে বাড়িগুলি ভেঙ্গে গেছে সেইসব পরিবারের মানুষরা তাদের ছেলেপুলে নিয়ে কি করে খাবেন সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পার হয়ে গেল এখনো আমাদের অবস্থার কোন পরিবর্তন হলো না। তাই আগামী দিনে ভোট বয়কটের ও চিন্তাভাবনা রয়েছে তাদের।