জলপাইগুড়ি : রাজ্য জুড়ে চাকরি হারানো শিক্ষকদের বুকে জ্বালা, সেই ক্ষোভ এবার ধ্বনিত হল রাজনৈতিক প্রতিবাদে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে জলপাইগুড়িতে কংগ্রেসের ডাকা অবস্থান-বিক্ষোভে সোমবার যোগ দিলেন সদ্য চাকরি হারানো এক শিক্ষক, যিনি মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আস্থা হারানোর কথা অকপটে জানালেন।
জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল পরিদর্শক কার্যালয় চত্বরে জেলা ও সদর ব্লক কংগ্রেস কমিটির যৌথ উদ্যোগে শুরু হয়েছে অবস্থান কর্মসূচি। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন ধূপগুড়ি হাই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক দেবপ্রিয় সাহা। শুধু তিনিই নন, চাকরি হারিয়েছেন তাঁর স্ত্রীও— তিনি কর্মরত ছিলেন হলদিবাড়ি গার্লস স্কুলে।
প্রতিবাদমঞ্চে দাঁড়িয়ে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে দেবপ্রিয় সাহা বলেন, “আজ কলকাতায় ইনডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী যাই বলুন, আমি সেখানে যাইনি। কারণ, এর আগেও তিনি অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কিন্তু আদালতের নির্দেশ মানেননি। অযোগ্যদের রক্ষা করতেই বারবার চেষ্টা করেছেন তিনি। আজ আমাদের চাকরি চলে গেছে, কাল যদি মায়নাও বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে আমরা কোথায় দাঁড়াব?”
তিনি আরও বলেন, “আমরা দু’জনেই চাকরি হারিয়েছি। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ভরসা খোঁজার আর মানে হয় না। তাই এবার রাজনৈতিক প্রতিবাদই আমাদের শেষ ভরসা।”
এই ঘটনাকে ঘিরে জলপাইগুড়ি কংগ্রেসের আন্দোলন নতুন মাত্রা পেয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়েছে, যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশে থেকে আন্দোলনকে জোরদার করবে তারা। কংগ্রেস নেতা অম্লান মুন্সী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তার সরকার কে উত্তর দিতে হবে চাকুরী ক্ষেত্রে যোগ্য অযোগ্য প্রশ্ন আসছে কেন। এই সুযোগ কারা করে দিল। তার দাবী, এই প্রশ্ন আসার সুযোগ করে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী এবং তার ক্যাবিনেটের মন্ত্রীরা, তার বুথ লেভেলের কর্মীদের পর্বত সমান লোভ, দুর্নীতি। ফলে অন্য যোগ্য শিক্ষিকরা চাকুরী হারালেন। এরজন্য একমাত্র দায়ী তৃণমূল সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী, অন্য কেউ নয়।
মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে চলা অবস্থান বিক্ষোভ মঞ্চে যোগ দিলেন চাকরি হারা শিক্ষক। সোমবার জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেস এবং সদর ব্লক কংগ্রেস কমিটির পক্ষ থেকে জেলা স্কুল পরিদর্শক কার্যালয় চত্বরে শুরু হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি। এবার সেই আন্দোলনে সামিল হতে দেখা গেলো সদ্য চাকরি হারানো শিক্ষককে, এই প্রসঙ্গে চাকরি হারানো শিক্ষক দেবপ্রিয় সাহা হতাশার সুরে বলেন, আজকে কলকাতায় চাকরি হারানো শিক্ষকদের যে ইনডোর স্টেডিয়ামে সভায় মুখ্যমন্ত্রী যাই বলুক ওনার ওপর আর আস্থা রাখতে পারছি না, সেই কারণে যাই নি কলকাতা, কারন এর আগেও উনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন,অথচ যোগ্য অযোগ্যদের পৃথক করার যে কথা বারবার কলকাতা হাইকোর্ট বলেছিল সেটি করেন নি, তিনি অযোগ্যদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন, যে কারণেই সর্বোচ্চ আদালত এমন নির্দেশ দিলো যে আমাদের চাকরিটাও চলে গেছে, আজ যদি মায়না বন্ধ করে দেয়, তাহলে আমাদের মতো যারা তাদের বেঁচে থাকাটাই মুসকিল হয়ে যাবে। আমার এবং আমার স্ত্রীর চাকরি গিয়েছে। দেবপ্রিয় চাকুরী করতেন ধুপগুড়ি হাই স্কুলে এবং তার স্ত্রী চাকুরী করতেন হলদিবাড়ি গার্লস স্কুলে।