গঙ্গায় মাছ ধরলেই দিতে হচ্ছে তোলা; মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে জলকর নিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বলে অভিযোগ

রাহুল মন্ডল, মালদা : গঙ্গায় মাছ ধরলেই দিতে হবে তোলা। যেখানে রাজ্য সরকার নির্দেশ গঙ্গায় মাছ ধরতে গেলে কোনরকম তোলা দিতে হবে না। সরকার ও জেলা প্রশাসনের নির্দেশ কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মৎস্য সমবায়ের সমিতির নামে জলকর মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে নিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এই জলকর দিতে অস্বীকার করলে মৎস্যজীবীদের অসভ্য ভাষায় গালাগালি ও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে অসাধু ব্যবসায়ীদের নামে।

এই বিষয়ে মৎস্যজীবীরা জেলা প্রশাসন পুলিশ প্রশাসন ব্লক প্রশাসনকে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছে। মৎস্যজীবীরা জানাচ্ছে জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া ও মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বিষয়টি জানানো হলে তারা নির্দেশ দিয়েছে গঙ্গায় মাছ ধরতে গেলে জলকর লাগে না এই বিষয়ে এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিংও করা হয়েছে তারপরেও মৎস্য সমবায় সমিতির সদস্যরা অন্যায় ভাবে জল কর মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে আদায় করছে। যদিও মৎস্য সমবায় সমিতির সদস্যরা জানাচ্ছেন সরকারি নির্দেশে সম্পূর্ণভাবে বৈধভাবে গঙ্গা থেকে মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে জল কর আদায় নেওয়া হচ্ছে যদিও এই ঘটনায় বিরোধীরা শাসক দলকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন।

If you catch fish in the Ganga you have to pay tola

এখন প্রশ্ন জলকর তোলার বিষয়ের দায়ী কার। কে সত্য। মৎস্যজীবীদের অভিযোগ জলকরের নাম করে বাজারে কুড়ি শতাংশ তোলা দিতে হচ্ছে মৎস্যজায় সমিতিকে। মৎস্যজায় সমিতির সদস্যরা জানাচ্ছি ২০২০ সালে জেলার ডিএলআরও দপ্তর থেকে জলগড়ের বিষয়ে টেন্ডার শুরু হয় সেই টেন্ডারের তারা অংশগ্রহণ করে এবং দপ্তর ২০২০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত টানা ৭ বছর জল কর বিষয়ে অনুমতি পায়। এর জন্য প্রতিবছর খাজনা হিসেবে সরকারকে ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৯৯ টাকা খাজ না দিতে হয়।। তারপরেও সরকার জলকড়ের বিষয়ে কেন বেআইনি বলছে। এই বিষয়ে সরকার যদি কোন হা না করে তাহলে আমরা সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট ও যাব। এই বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানান গঙ্গা নদী থেকে জলকর নেওয়া মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে যাবে না। গঙ্গা কোন জলকর লাগে না। সবাই সমিতি থেকে এই বিষয়ে তাদেরকে কেউ অভিযোগ জানায়নি তবুও এই বিষয়ে মন্ত্রী ডিএলআরও দপ্তরের এ ডি এম কে এই বিষয়ে তদন্ত করে দেখার বিষয় জানাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *