জলপাইগুড়ি শহরে বন্ধ করা হল বেআইনি নার্সিং প্রশিক্ষণ সেন্টার

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২০ সেপ্টেম্বর’২৩ : প্রশ্নের মুখে জলপাইগুড়ির শহরের পান্ডা পাড়ার একটি বেসরকারি নার্সিং ট্রেনিং সেন্টার। সেন্টারটি অক্সিজেন দম্পতির স্কুল নামে পরিচিত ছিল। সেন্টারের সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে, এখানে নার্সিংয়ের বিএসসি এবং জিএনএম ট্রেনিং এর কোর্স করানো হয়। অভিযোগ স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমতি ছাড়াই নার্সিং ও প্যাথলজি প্রশিক্ষণ দেওয়া হত এখানে। শুধু তাই নয় নার্সিং এর প্র‍্যাকটিকাল ক্লাসও চলত এই সেন্টারে এমনটাই অভিযোগ। অভিযোগ প্রশিক্ষণের পরে চাকরি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হত এবং এরজন্য মোটা অংকের টাকা নেওয়া হত ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে। যদিও টাকা খরচ করেও প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরেও সরকারি বা বেসরকারি কোন ক্ষেত্রেই চাকরি পান নি ছাত্রছাত্রীরা বলেও অভিযোগ।

জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে অভিযোগ আসে জলপাইগুড়ি পান্ডাপাড়ায় ওই নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারটি অবৈধভাবে চলছে। সেই অভিযোগ পেয়েই মঙ্গলবার ডেপুটি CMOH ড: সুখেন্দু বিশ্বাসের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষ দল নার্সিং সেন্টারে অভিযানে যান। জানা গেছে সেন্টারের কর্ণধার শান্তনু শর্মা তার শ্বশুড়ের বাড়িতেই সেন্টারটি চালাতেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে সেন্টারের মালিক শান্তনু শর্মাকে ফোন করা হলে তিনি আসেন নি। এরপর তার স্ত্রীর সাথে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা কথা বলেন। নার্সিং সেন্টার চালানোর তারা বৈধ কোন কাগজ দেখাতে পারেন নি। সেন্টার কতৃপক্ষ বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় সেন্টারটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। অভিযোগ নার্সিং, প্যাথলজির নাম করে টাকা নিয়ে ট্রেনিং সেন্টার চালানো হত। যে সার্টিফিকেট দেওয়া হত তাও নাকি অবৈধ।

এই বিষয়ে ডেপুটি CMOH ড: সুখেন্দু বিশ্বাস জানান মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশে তারা ওই নার্সিং সেন্টারে যে সমস্ত ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে তার বৈধ কাগজ দেখতে এসেছিলাম। কিন্তু কোন কাগজ তারা দেখাতে পারেনি। সেন্টারের মালিক শান্তনু শর্মাকে পাওয়া যায়নি। তার স্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে। আমি সম্পুর্ন রিপোর্ট মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে জমা দেব।

এদিকে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: অসীম হালদার বলেন, নার্সিং সেন্টারটি অবৈধভাবে চলছিল। নার্সিং বা প্যাথলজি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালানোর জন্য সরকারি অনুমতি নিতে হয়। তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে ওই নার্সিং সেন্টারের নাম নেই। এমন অভিযোগ আসার পরেই আমরা স্বাস্থ্য দপ্তরের টিম সেখানে পাঠিয়েছি খোঁজখবর নেওয়ার জন্য।

এ বিষয়ে শান্তনু শর্মার মামা সুদীপ বিশ্বাস বলেন শান্তনু বাড়িতে নেই। আর তার স্ত্রী কোন বক্তব্য দেবে না। নার্সিং সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের কোন লাইসেন্স নেই। সেটার তদন্তে স্বাস্থ্য দপ্তরের টিম এসেছিল।

এদিকে নার্সিং সেন্টারের কর্ণধার শান্তনু শর্মা জানান, স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ মেনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *