ফুলবাড়ি, ২৪ জুন: সরকারি জমিতে বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা দোকানপাট ও ঘরবাড়ির উপরে এবার প্রশাসনিক খাঁড়া। রাজগঞ্জ ব্লকের ফুলবাড়ি মার্ডার মোড় থেকে বাইপাস মোড় পর্যন্ত তিস্তা ক্যানেলের বাম পাড়ে থাকা সমস্ত অবৈধ নির্মাণ সরিয়ে নিতে সাত দিনের সময়সীমা বেঁধে দিল সেচ দপ্তর। ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে লিখিত নোটিশ।
এই নির্দেশ ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। একদিকে সেচ দপ্তরের যুক্তি—এগুলো বহুদিন ধরেই সরকারি জমি জবরদখল করে বানানো হয়েছে। অন্যদিকে দোকানদার ও বাসিন্দাদের দাবি, “এটাই আমাদের একমাত্র রুজিরুটি। এই পরিস্থিতিতে কোথায় যাব? অন্তত কিছুটা সময় তো দিত প্রশাসন!”
প্রশাসনের এহেন সিদ্ধান্তে মাথায় হাত পড়েছে বহু দুঃস্থ পরিবার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। তাঁরা বলছেন, হঠাৎ উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়। অন্তত পুজোর পর সময় দিলে বা পূর্ব থেকে বিকল্প ব্যবস্থা নিলে তাঁরা প্রস্তুতি নিতে পারতেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একটাই জোরালো দাবি—উচ্ছেদ নয়, চাই পুনর্বাসন। সরকারের উচিত মানবিক দিক বিবেচনা করে উপযুক্ত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। না হলে সমস্যার আরও জটিলতা তৈরি হবে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।
এই মুহূর্তে গোটা অঞ্চল জুড়ে দেখা দিয়েছে চাপা উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা। এখন নজর প্রশাসনের দিকে—তারা কতটা সংবেদনশীল দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সমস্যার সমাধান করতে এগিয়ে আসে, সেটাই বড় প্রশ্ন।