জলপাইগুড়ি : বর্ষার পূর্বে নদী ও বাঁধের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে জলপাইগুড়িতে জরুরি বৈঠকে বসেছিল সেচ দফতরের উত্তর-পূর্ব বিভাগ। মঙ্গলবার, জলপাইগুড়ির রেসকোর্স পাড়ার সেচ নিবাসে আয়োজিত বৈঠকে হাজির ছিলেন সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন, ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (IMD), এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতিনিধিরা।

চিফ ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক জানালেন, “বর্ষা আসার আগেই নদী ও বাঁধ সংক্রান্ত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির জন্য কিছু বাধা এলেও, জুনের শুরুতেই আমরা প্রস্তুত থাকতে চাই।”
এই মুহূর্তে প্রায় দেড়শোটি প্রকল্প চলছে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও শিলিগুড়ি মহকুমাজুড়ে। এর মধ্যে বড় প্রকল্পগুলির বাজেট প্রায় ৭৫-৭৬ কোটি টাকা, আর ছোট কাজের পরিমাণ প্রায় সাড়ে দশ কোটি। সেচ দফতরের দাবি, ২০২৩ সালের সিকিম বন্যার কারণে তিস্তা নদীর গতি ও প্রকৃতি অনেকটাই বদলে গেছে। কোথাও পলি জমে গেছে, কোথাও স্পার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে— এসব ক্ষেত্রে ড্রেজিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানানো হয়।

১ লা জুন থেকে চালু হচ্ছে সেচ দফতরের কন্ট্রোল রুম, যেখানে নদীর জলস্তর ও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ নিয়মিত নজরদারিতে থাকবে। সিকিম ও ডুয়ার্সে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।