সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ি পুরসভার বর্জ্য রাখা হচ্ছে বেসরকারি জায়গায়। বর্জ্য থেকে জৈব সার করা হবে। দোকানিকে ভুল বুঝিয়ে বর্জ্য রাখার অভিযোগ পুরসভার বরাদপ্রাপ্ত সংস্থার বিরুদ্ধে। এদিকে নোংরা আবর্জনা না সরানোয় সংস্থার পোকলিং মেশিন আটকে রেখেছেন জমির মালিক। যদিও ব্যক্তিগত জমিতে এভাবে আবর্জনা ফেলার কোন খবর নেই পুরসভার কাছে বলে জানান চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল।

পাহাড়পুরের বাসিন্দা চন্দন বসাকের অভিযোগ, জাতীয় সড়কের পাশে তার দোকান। দোকানের পাশেই তার জমি। জৈব সার করা হবে বলে ১৫ দিনের জন্য সেখানে আবর্জনা রাখার অনুমতি নেওয়া হয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে পুরসভার প্লাস্টিকের আবর্জনা জমিতে রাখা হয়েছে। জমি থেকে সেগুলি তুলে নিতে বলা হলেও তা সরানো হয়নি। এই কারণে জমিতে যারা নোংরা আবর্জনা ফেলেছিল, তাদের মেশিন আটকে রাখা হয়েছে। দ্রুত সেই জমি থেকে আবর্জনা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন চন্দন বসাক।

এদিকে জলপাইগুড়ি পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ডের ইনচার্জ ফজলুল ইসলাম বলেন, যে সংস্থা ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জৈব ও অজৈব বর্জ্য আলাদা করার বরাত পেয়েছিল, তারাই জাতীয় সড়কের পাশে পাস্টিক বর্জ্য রেখেছে। পুরসভার সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই।

এই বিষয়ে ওই সংস্থার সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে সংস্থার পক্ষে বিক্রম সিং বলেন, পুরসভার বর্জ্যপদার্থ পৃথকিকরণের কাজ তারা করছিলেন। কিছু সমস্যা থাকার কারণে জাতীয় সড়কের পাশে এক ব্যক্তির ফাঁকা জমিতে ওই বর্জ্য রাখা হয়েছে জমির মালিকের অনুমতি সাপেক্ষে। দেড় মাসের মধ্যেই গাড়িতে করে ওই বর্জ্য নিয়ে যাওয়া হবে। পুরসভার কাছে ফাঁকা জায়গা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুরসভা জায়গা পারে নি।

পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল টেলিফোনে বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। ডাম্পিং গ্রাউন্ডের বাইরে কোন আবর্জনা ফেলার কথা নয়। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।