সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১৮ জুলাই’২৩ : জলপাইগুড়ি পুরসভার বর্তমান উপ পুরপিতা তথা জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলো জলপাইগুড়ি আদালত। উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ি শহরের পান্ডা পাড়ার বাসিন্দা সমাজসেবী দম্পতি সুবোধ ভট্টাচার্য ও অপর্ণা ভট্টাচার্য বিগত ১ এপ্রিল আত্মহত্যা করেন। তাদের কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে পুলিশ। এই সুইসাইড নোটে জলপাইগুড়ি পুরসভার বর্তমান উপ পুরপিতা সৈকত চ্যাটার্জী, ১৪ নাম্বার ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ, সোনালী বিশ্বাস এবং মনোময় সরকারের নাম উল্লেখ করে যান দম্পতি। এই দম্পতি কে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মৃত সুবোধ ভট্টাচার্যের দিদি শিখা চ্যাটার্জী সৈকত চ্যাটার্জী সহ উক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে জলপাইগুড়ি কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ, সোনালী বিশ্বাস ও মনোময় সরকারকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ ও সোনালী বিশ্বাস ৬০ দিন জেলবন্দি থাকার পর সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে সৈকত সার্কিট বেঞ্চে জামিনের আবেদন করলে গত ১৬ জুন ওই জামিন খারিজ করে দেয় আদালত। তারপর থেকেই সৈকত ফেরার বলে জানা যাচ্ছে। তবে ইতিমধ্যে সৈকত সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
এদিন জেলা আদালতের সহকারি সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় ব্যানার্জী টেলিফোনে জানান ওই ঘটনার তদন্তকারি অফিসার তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেছিলেন আদালতের কাছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় সৈকত চ্যাটার্জী কে দেশের যে কোন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করতে আর বাধা থাকলো না পুলিশের। শুধু তাই নয়, এরপর একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সৈকত চ্যাটার্জীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে না পারলে বা সৈকত চ্যাটার্জী নিজে আত্মসমর্পণ না করলে আদালত সৈকত চ্যাটার্জীর সম্পত্তি ক্রোক করারও নির্দেশ দিতে পারে।
তবে এদিন সৈকত চাট্যাজির পক্ষের আইনজীবী সন্দীপ দত্ত দাবি করেছেন সৈকত চ্যাটার্জী পলাতক নন। তিনি সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা করেছেন। সেই মামলা এখন পেন্ডিং আছে। সুতরাং তার মক্কেল এখনো বিচারাধীন প্রসেসের মধ্যে রয়েছেন, পালিয়ে যাননি। তাহলে তদন্তকারি অফিসার যেভাবে আদালতে আবেদন করেছেন সেটা সঠিক হয়নি। তাই এই বিষয় নিয়ে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন সন্দীপ বাবু।