সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : মঙ্গলবার বেকার যুবক যুবতিদের কাজের দাবী, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতি বন্ধের মতো বারো দফা দাবিতে যুব কংগ্রেস কর্মী সমর্থকেরা জেলা শাসকের অফিস অভিযানের ডাক দিয়েছিল। অন্যান্য বিরোধীদের আন্দোলনের মতোই পুলিশ যুব কংগ্রেস কর্মীদের আটকাতে ব্যারিকেড তৈরী করেছিল। একসময় সেই ব্যারিকেড ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে যুব কংগ্রেস কর্মীরা জেলা শাসকের অফিস চত্বরে ঢুকেও পরে। এরপরেই রাতে এই আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক প্রবীণ কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে বুধবার তিনি জামিন পান। এই মামলায় আরও পাঁচজন কংগ্রেস কর্মীকে বৃহস্পতিবার জামিন দিয়েছে আদালত। যদিও আর একজন কর্মী শহরের বাইরে থাকায় আজ আদালতে হাজিরা দিতে পারেনি।

এই প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেস সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত শাসক তৃণমূল কংগ্রেস এবং পুলিশকে কটাক্ষ করে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে একটি অগণতান্ত্রিক এবং আপাদমস্তক দুর্নীতিতে ভরা সরকার চলছে।

জেলা যুব কংগ্রেস সভাপতি বাপী চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, আমরা নিয়ম মেনে শান্তিপূর্ণভাবে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের বাধা দিল এবং আমাদের সাতজনের নামে কেস দিল। আর অন্যদিকে সেদিনই শহরে যাওয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা আটকে দিনবাজারে তৃণমূল সভা করলো। পুলিশের এই দ্বিচারিতা কেন?

অপরদিকে পুরসভার কাউন্সিলর তথা কংগ্রেস নেতা অম্লান মুন্সী বৃহস্পতিবার দলীয় কর্মীদের জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর বলেন, পুলিশ যে তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে এটা তারই প্রমান।