সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২১ ফেব্রুয়ারি’২৪ : জলপাইগুড়ি জেলার ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামের প্রথম শহীদ বীরেন্দ্রনাথ দত্ত গুপ্তের ১১৫তম শহীদ দিবস বুধবার পালন করা হল শহীদ বীরেন্দ্র নাথ দত্তগুপ্ত স্মৃতি রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে। এদিন তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বিপ্লবী বীরেন্দ্রনাথ দত্ত গুপ্তের মূর্তিতে মাল্যদান করে এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এছাড়াও সঙ্গীত পরিবেশন এবং আলোচনার মধ্য দিয়ে।

উপস্থিত ছিলেন শৈবাল দাসগুপ্ত, অশোক সেনগুপ্ত, অধ্যাপক জীতেন দাস , পার্থ সারথী চক্রবর্তী, রাহুল হোড়, সলিল আচার্য , গোবিন্দরায় প্রমুখ। বীরেন্দ্র নাথ দত্তগুপ্ত জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলে ছাত্রাবস্থায় বিপ্লবী যতীন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায় যাকে আমরা বাঘাযতীন হিসেবে চিনি তাঁর সাথে বন্ধুত্ব এবং বিপ্লবী আদর্শে দিক্ষিত হন। তিনি জলপাইগুড়ির প্রথম শহীদ। ১৯১০ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ২০ বৎসর বয়সে সশস্ত্র সংগ্রামে যুক্ত বীরেন্দ্র দত্ত গুপ্তের ফাঁসি হয়েছিল।

পাশাপাশি শহীদ বীরেন্দ্রনাথ দত্তগুপ্তর শহীদ দিবস পালন করা হলো জলপাইগুড়ি যুব কংগ্রেস ও যুব ইনটাক-এর পক্ষ থেকে জেলা পরিষদ ভবনে। স্মরণসভায় শহীদের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন অধ্যাপক জীতেন দাস, লেখক প্রশান্ত নাথ চৌধুরী, বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক উমেশ শর্মা, কবি পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়, টাউন ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি অম্লান মুন্সি, জেলা যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক স্বপন দাস, জেলা যুব ইনটাকের সভাপতি গণেশ ঘোষ, যুব কংগ্রেস নেতা মহ মহবুল, বসন্ত মল্লিক ও গনেশ বাসফোর সহ অন্যান্যরা।

এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে যুব সমাজের প্রতি বার্তা দেওয়া হয় যে “যেভাবে আজ মায়েরা বোনেরা নিপীড়িত যুবসমাজ নিপীড়িত তার বিরুদ্ধে বীর শহীদদের মত আমাদের প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে, কথিত হীরক সরকারের দম্ভ ভেঙে খান খান করে দিতে হবে, একমাত্র যুবকরাই পারে সমাজের – দেশের তথা দশের অবস্থার পরিবর্তন আনতে”।