জলপাইগুড়ি : চিকিৎসার গাফিলতির জেরে রোগীমৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়াল জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে। মৃতের পরিবারের দাবি, ভুল ওয়ার্ডে ভর্তির পাশাপাশি ভুল ইনজেকশন দেওয়ায় প্রাণ গেল জলপাইগুড়ি শহরের পবিত্র নগর কলোনির বাসিন্দা, পেশায় দিনমজুর নান্টু দে সরকার (৫০)-এর।

বুধবার সন্ধ্যায় পায়ে ব্যথা নিয়ে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশালিটি ব্লকে ভর্তি হন নান্টু বাবু। পরিবারের অভিযোগ, ইমারজেন্সি বিভাগ থেকে সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে পাঠানো হয় রোগীকে, যেখানে ইনজেকশন দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে এবং মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়ায় মেডিক্যালে। মৃতের ছেলে নদাই দে সরকার অভিযোগ করে বলেন, “আমার বাবার চিকিৎসায় ভয়ানক গাফিলতি হয়েছে। আমরা ময়নাতদন্ত চাই, তাও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে।”
স্থানীয় বাসিন্দা নবেন্দু মৌলিক প্রশ্ন তোলেন, “এই হাসপাতালে সিনিয়র ডাক্তাররা সময়মতো থাকেন না। সব দায়িত্ব জুনিয়রদের ঘাড়ে। এর দায় কে নেবে?”
পরে কোতয়ালী থানার পুলিশ ও হাসপাতাল ফাঁড়ির অফিসার এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও থানায় দুটি পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছে।

এদিকে গোটা ঘটনায় মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসনিক স্তরে নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ। মৃতদেহ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। পরিবারের স্পষ্ট দাবি—তদন্ত হোক, দায়ীদের যেন শাস্তি হয়।