জলপাইগুড়ি, ২৫ এপ্রিল ২০২২ : জলপাইগুড়ি মুক্তাঙ্গন নাট্যগোষ্ঠীর সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে স্থানীয় আর্য নাট্য সমাজ ( রবীন্দ্র ভবন ) মঞ্চে আয়োজিত হল একদিনের নাট্য উৎসব। মুক্তাঙ্গনের সভাপতি আলোক সুধীর সরকার, নির্দেশক রীনা ভারতী, নাট্য ব্যক্তিত্ব কুন্তল ঘোষ, শিলিগুড়ি ইঙ্গিত এর নির্দেশক আনন্দ ভট্টাচার্য প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। সভাপতি আলোক সুধীর সরকার মুক্তাঙ্গন কে নিয়ে তার নিজের লেখা কবিতা পাঠ করেন। সাহিত্যিক উমেশ শর্মা, বিশিষ্ট মাইম শিল্পী সব্যসাচী দত্ত, নাটকের নিয়মিত দর্শক তথা কবি গৌতম গুহ রায়দের মূল্যবান বক্তব্যে অনুষ্ঠান এর সূচনাক্ষন আরো মনোগ্রাহী হয়ে ওঠে।

নাট্য অনুষ্ঠান শুরু হয় মুক্তাঙ্গন নাট্যগোষ্ঠী প্রযোজিত রীনা ভারতী নির্দেশিত মৈনাক সেনগুপ্ত রচিত নাটক “টিট ফর ট্যাট” এর মাধ্যমে । পরিবেশ ধ্বংস করে বিভিন্নভাবে উন্নয়ন হচ্ছে তাতে যে শুধু পরিবেশ নয় মানুষেরও ক্ষতি সাধন হচ্ছে সেই বিষয়ে সচেতন করে এই নাটক। মুক্তাঙ্গন এর শিশু কিশোর বিভাগের শিল্পীরা মূলত এই নাটকে অভিনয় করে। দ্বিতীয় নাট্য পরিবেশনা ছিল শিলিগুড়ি ইঙ্গিত প্রযোজিত, রবীন্দ্র কাহিনী অবলম্বনে শিবঙ্কর চক্রবর্ত্তী রচিত নাটক ত্যাগ। নির্দেশক এর হাতে ঋত্ চট্টোপাধ্যায় স্মৃতি মুক্তাঙ্গন স্মারক সম্মান তুলে দেন মুক্তাঙ্গন এর নির্দেশক রীনা ভারতী।

প্রতিবছর জলপাইগুড়ি মুক্তাঙ্গন নাট্য গোষ্ঠী সারাজীবন নিজেকে নাটকের বিভিন্ন ধারার কাজে যুক্ত রেখেছেন এমন একজন নাট্যকর্মী কে “ঋত্ চট্টোপাধ্যায় স্মৃতি মুক্তাঙ্গন নাট্যকর্মী সম্মান ” প্রদান করে । এবছর সেই সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব, সংগীত শিল্পী তথা শিলিগুড়ি থিয়েটার একাডেমী এর নির্দেশক শ্রী কুন্তল ঘোষ কে । তিনি শৈশব কাল থেকেই নাট্য চর্চায় যুক্ত, ইতি মধ্যেই রচনা করেছেন ৭০ টির মতো বিভিন্ন ধারার নাটক।৫০টির বেশি নাটকের গান রচনা ও সুর প্রদান করেছেন। নির্দেশনার কাজ করেছেন ১০০টির বেশি নাটকে।

সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সদস্য মৌসুমী কুন্ডু। কোভিড বিধি মেনে এই উৎসবে সকলে সামিল হয়ে উৎসব কে সর্বাঙ্গীন সুন্দর করে তুলেছেন।