সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : পুর নাগরিক পরিষেবা তলানিতে পৌঁছে গেছে জলপাইগুড়ি শহরে অভিযোগ সিপিএমের। অন্যদিকে ছাপ্পা ভোটের পুরসভায় চলছে একের পর এক দুর্নীতি এই অভিযোগ তুলে শুক্রবার প্রতিবাদ বিক্ষোভ ও পুরসভা অভিযানে সামিল হল সিপিএমের নেতা কর্মীরা। শুক্রবার শহরের ডিবিসি রোডের বামফ্রন্টের জেলা কার্যালয় থেকে মিছিল বের হয়। শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে মিছিলটি পুরসভার সামনে হাজির হয়। এদিনের অবস্থান বিক্ষোভে সিপিএম ছাত্র, যুব, মহিলা, শিক্ষক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতা ও কর্মীরা সামিল হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে কোতোয়ালি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল। পুরসভার দুটি গেটে আটকে দেওয়া হয় সিপিএমের নেতা কর্মীদের। যদিও আন্দোলনকারীরা পুলিশের সঙ্গে কোন ধস্তাধস্তি করেননি। সোজা পুরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হলেন নেতা কর্মীরা। অবস্থান বিক্ষোভে বক্তব্যের মধ্য দিয়ে পুরসভার আর্থিক দুর্নীতি প্রতিবাদ ও নাগরিক পরিষেবা সচল করার দাবিতে সোচ্চার হলেন নেতারা।
উল্লেখ্য পুরসভাকে উদ্যেশ্য করে কত পেলে? কত খেলে? এই ব্যানার টাঙিয়ে চলল বিক্ষোভ। অবস্থান বিক্ষোভের পর পুর কর্তৃপক্ষকে একাধিক দাবি তুলে ধরলেন সিপিএমের নেতারা৷ দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে পানীয় জলের পরিষেবা সচল করতে হবে, বাড়ির ছাদে জল উঠছে না সেই সমস্যা দূর করতে হবে। রাস্তা সংস্কার সহ একাধিক দাবি তুলে এদিন স্মারকলিপি দেওয়া হয়। আন্দোলনে উপস্থিত ছিলেন সিপিএম নেতা বিপুল স্যানাল, শিক্ষক নেতা বিপ্লব ঝা, সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রদীপ দে, প্রাক্তন কাউন্সিলর দূর্গা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।
বামফ্রন্টের জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য বলেন,”ফেক পুরসভা। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি চলছে এই পুরসভায়। নাগরিক পরিষেবা তলানিতে। এর প্রতিবাদে আজকের বিক্ষোভ।
অন্যদিকে সিপিএমের জলপাইগুড়ি পুরসভা অভিযান নিয়ে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চাট্যাজি বলেন, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ দেখাতে বলেছি একটাও দেখাতে পারেনি৷ রাস্তা ঘাট সংস্কার সব করা হবে ধীরে ধীরে। বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের প্রকল্প ২০২৩ সালের মধ্যে শেষ হবে। আর দুর্নীতি নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত চলছে রিপোর্ট আসার পরেই আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।