সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৩১ জানুয়ারি’২৪ : দীর্ঘদিন ধরে পড়়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে পুরসভার অ্যাম্বুলেন্স। পুরসভার স্যানিটারি বিভাগ এবং বিল্ডিংয়ের সামনেই ফেলে রাখা হয়েছে এম্বুলেন্সগুলি। এদিকে অভিযোগ, এম্বুলেন্সগুলো পড়ে থাকায় পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জলপাইগুড়ি শহরের সাধারণ মানুষ। গোটা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুরসভার ভূমিকা। কিন্তু পুর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য এম্বুলেন্স পরিষেবা বন্ধ নেই।

বস্তুত, জলপাইগুড়ি শহরে সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পাশাপাশি রয়েছে বেশকিছু প্রাইভেট নার্সিং হোম। ফলে রোজই রুগী আনা নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয় বহু এম্বুলেন্স। বেশকিছু সেচ্ছাসেবী সংস্থার এম্বুলেন্সও রোগীদের পরিষেবা দেয়। কিন্তু কোথাও একটা ফাঁক রয়েই গেছে।

শহর এবং শহর সংলগ্ন এলাকায় রোগীর তুলনায় এম্বুলেন্সের আনুপাতিক হারে সংখ্যা কম। আর সেই শহরেই খোদ পুরসভায় পরে থেকে নষ্ট হচ্ছে একটি বা দুটি নয়, ছয়-ছয়টি এম্বুলেন্সে। কেউ এম্বুলেন্স ভাড়া নিতে গেলে বেসরকারি এম্বুলেন্সগুলো অনেক ভাড়া চেয়ে বসে বলে অভিযোগ রোগীর পরিজনদের। সেক্ষেত্রে পুরসভার এম্বুলেন্স যেভাবে করোনা কালে পরিষেবা দিয়েছিল, এখন সেই পরিষেবা বন্ধ। এখন যদি পুরসভা সেভাবেই পরিষেবা দেয় তাহলে অনেক মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত মানুষদের উপকার হবে।

এ বিষয়ে পুরমাতা পাপিয়া পাল জানান, আমাদের এম্বুলেন্স পরিষেবা বন্ধ নেই। শেষ বোর্ড মিটিংয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে সবকটি এম্বুলেন্স দ্রুত পরিষেবা দেওয়ার কাজ করবে। গাড়িগুলোরও কোন সমস্যা নেই। সাধারণ মানুষ যাতে স্বল্প মূল্যে এম্বুলেন্স পরিষেবা পায় সেদিকটাও আমরা খেয়াল রাখছি।

অন্যদিকে বাম নেতা কৃষ্ণ সেনের মতে, পুরসভা যদি সত্যি বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে যে পুনরায় এম্বুলেন্স পরিষেবা শুরু করবে তাহলে আমরা সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। কিন্তু এটা যদি শুধু মিটিংয়ের সিদ্ধান্তই হয় আর ইমপ্লিমেন্ট না হয় তাহলে সেটা সাধারণ মানুষের জন্য ভালো খবর নয়।