সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১৭ জুলাই ২০২২ : প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের মাইক্রোন নির্ধারণের যন্ত্র কিনতে চলছে জলপাইগুড়ি পুরসভা। কোন প্লাস্টিক চলবে কোন প্লাস্টিক চলবে না অভিযানে নেমে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে পুর কর্তৃপক্ষকে। কোন প্লাস্টিক চলবে ধন্দে প্রশাসনও। সমস্যা মেটাতে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের মাইক্রোন নির্ধারণের যন্ত্র কেনার উদ্যোগ গ্রহণ করল পুর কর্তৃপক্ষ। প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের মাইক্রোন নির্ধারণের যন্ত্র হাতে প্রত্যেক দোকান ধরে ধরে অভিযান করা হবে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের ৷ ৭৫ মাইক্রোনের নিচে সব প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ গত ১ জুলাই থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। হাটে বাজারে কোন জায়গায় প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করা যাবে না। নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও কোন প্লাস্টিক কত মাইক্রোনের বোঝার উপায় নেই পুর কর্তৃপক্ষের। এদিকে অভিযানে নেমে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে পুর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের বলে দাবি। বিভিন্ন কারখানা থেকে শুকনো খাবার প্যাকেট হয়ে খোলা বাজার আসছে। প্যাকেট জাতীয় খাবার যে প্লাস্টিকে আসছে সেগুলোর আদো কি বৈধতা আছে? তা জানতে যন্ত্র ব্যবহার করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, কোন প্লাস্টিকের কত মাইক্রোনের আছে জানায় উপায় নেই। অভিযান হচ্ছে সবটাই অনুমানের ভিত্তিতে। যন্ত্রের মাধ্যমে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের মাইক্রোন নির্ধারণ করা হলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মনোমালিন্য হবে না। সঠিক প্রদ্ধতি মেনে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বন্ধ করা যেমন হবে, অন্যদিকে শহরবাসী ও ব্যবসায়ীরা সচেতন হবেন। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চাট্যাজি বলেন,”প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের মাইক্রোন নির্ধারণের ব্যবস্থা নেই পুরসভার। এই কারণে মাইক্রো যন্ত্র কেনা হচ্ছে দ্রুত। প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বন্ধ করতেই হবে।”
