কুয়াশায় মোড়া জলপাইগুড়ি, শীতের দাপটে কাবু শহরবাসী

জলপাইগুড়ি: বুধবার সকালে ঘন কুয়াশার সাদা চাদরে ঢেকে গেল গোটা জলপাইগুড়ি শহর। শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকায় জেলাজুড়ে ঠান্ডায় কাবু সাধারণ মানুষ। গতকালের তুলনায় এদিন কুয়াশার দাপট ছিল অনেক বেশি, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

প্রাতঃভ্রমণে বের হওয়া মানুষজন জানিয়েছেন, এদিন রাস্তার দৃশ্যমানতা খুবই কম ছিল। প্রাতঃভ্রমণকারী ডুনা সাহা বলেন, “আজ সকালে কুয়াশার মধ্যে হাঁটতে বেশ অসুবিধা হয়েছে। তবে শীতের অনুভূতিটা অন্য রকম।” অন্যদিকে, মিথুন দাস জানান, “কুয়াশার জন্য গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে। শীতও বেশ ভালোভাবে অনুভূত হচ্ছে।”

কলকাতা থেকে আসা এক পর্যটক জানান, “এখানকার কুয়াশার ঘনত্ব কলকাতার তুলনায় অনেক বেশি। মাথায় বৃষ্টির মতো ঠান্ডা পড়ছে। তবে পরিযায়ী পাখির দেখা মিলছে না কুয়াশার কারণে।”

দৃশ্যমানতা কম থাকায় শহরের রাস্তাগুলোতে যানবাহন চলাচলে অসুবিধা দেখা দেয়। সিগন্যাল বাতি স্পষ্ট দেখা না যাওয়ায় ট্রাফিক পুলিশ বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করছে। যানবাহনের চালকদের হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে গাড়ি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জলপাইগুড়ির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের প্রভাব দেরিতে শুরু হলেও জানুয়ারি মাসে এসে তা প্রকট হয়ে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, “এবার শীত তার আসল রূপ নিয়ে হাজির হয়েছে।”

Jalpaiguri shrouded in mist;  City dwellers overcome by winter

শীতবস্ত্রের দোকানগুলিতে ভিড় বেড়েছে, পাশাপাশি রাস্তার ধারের চায়ের দোকান এবং ভাপা পিঠের স্টলগুলিতে উপচে পড়ছে মানুষ। শীতের দাপট উপভোগ করতে অনেককে গরম পোশাকে মোড়া অবস্থায় রাস্তায় দেখা গেছে।

ট্রাফিক পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাতায়াতের সময় সর্তক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাইক ও গাড়ি চালকদের হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে গাড়ি চালানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা এড়িয়ে চলা যায়।

শীত ও কুয়াশার যুগলবন্দি এই মুহূর্তে জলপাইগুড়ির পরিবেশে এক নতুন মেজাজ নিয়ে এসেছে। শহরবাসী শীতের আমেজ উপভোগ করলেও স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *