সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২৬ আগস্ট : স্কুলে ফের দুষ্কৃতি তাণ্ডবের অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার রাতে জলপাইগুড়ি সোনাউল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভেতরে ঢুকে দুষ্কৃতীরা দরকারি জিনিসপত্র, ট্রাংক ভেঙে প্রয়োজনীয় কাগজ লন্ডভন্ড করেছে বলে আজ অভিযোগ তোলেন স্কুল কর্তপক্ষ। তিনদিন যেতে না যেতেই দুষ্কৃতীদের এমন তান্ডবে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্কুলে।
বায়োলজি বিভাগের শিক্ষক কিংশুক মুখার্জী বলেন, গতকাল রাতে কমন রুমের তালা ভেঙে ভেতরের একটি ট্রাংক বাইরে বের করে লন্ডভন্ড করা হয়েছে। লাইব্রেরীর তালা ভেঙে বইপত্র এদিকে ওদিকে ছড়িয়ে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি কেমিস্ট্রি ল্যাবের দরজার লক বারবার আঘাত করে ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত চুরি যাওয়ার কিছু প্রমাণ সামনে না এলেও চুরি করার একটি চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানান কিংশুক বাবু। পুলিশকে বিষয়টি জানানোর পর তারা এসে তদন্ত করে গেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খুব দ্রুতই অপরাধীদের সনাক্ত করে আটক করা হবে বলে জানান তিনি।
বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক রথীন্দ্রনাথ দে সরকার বলেন, “বারবার এমন ঘটনায় আমরা অনেকটাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। স্কুলের যিনি নাইট গার্ড আছেন তিনি বয়স্ক মানুষ। আমাদের ভয় হচ্ছে দুষ্কৃতীরা তার ওপর হয়েও তার ক্ষতি করতে পারে। এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করা যায়।
শহরের বাসিন্দা তথা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অজয় সাহা বলেন, তিনদিন আগেও ঠিক একই রকম ঘটনা ঘটেছিল স্কুলে। আমার মনে হচ্ছে বার বার এমন ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনকে এই দুষ্কৃতীরা একটি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনকেও বিষয়টি এখন চ্যালেঞ্জের সাথে দেখা উচিত বলে মনে করেন তিনি। যারা এই কাজ করছে তারা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার মত গুরুতর কাজের সাথে যুক্ত। তাই তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা করে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। ইদানিং শহরের একাধিক স্কুলে চুরির মতো ঘটনা ঘটেছে। তাই এক্ষেত্রে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি ও সাদা পোশাকের পুলিশের নজরদাড়িরও কিছুটা অভাব বলে মনে হচ্ছে। দ্রুত নজরদারি বাড়িয়ে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবী জানান যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অজয় সাহা।