সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২৬ ফেব্রুয়ারি’২৪ : ক্ষুদের বয়স মাত্র ১ বছর ৭ মাস। এই বয়সেই গড়গড় করে বলে দেয় বাংলা- ইংরেজি অক্ষর, পশু-পাখির নাম। এমনকি জটিল অঙ্কের জ্যামিতিক আকার চিনে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছে সে। সন্তানের এমন প্রতিভা দেখে যেকোনও বাবা-মায়ের গর্বে বুক ফুলে উঠবেই। জলপাইগুড়ির এই ছোট্ট ক্ষুদের এমন প্রতিভার কদর করেছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসও।

বিস্ময়কর এই শিশুর নাম হৃদান মিত্র। মুখে এখনও ঠিকমতো কথা ফোটেনি। কিন্তু তাতে কি? ছোট্ট হৃদানের প্রতিভা দেখে অবাক সকলে। এখনও ঠিকমতো কথা বলতে না পারলেও হৃদান চিনতে পারে ইংরেজি ও বাংলা বর্ণমালার সমস্ত বর্ণ ও সংখ্যা, বিভিন্ন প্রাণী, সবজি, ফল, মানব শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ। পাশাপাশি রয়েছে জ্যামিতিক আকারের ধারণাও। গাড়ির নম্বর প্লেট দেখলেও সংখ্যাগুলো অনায়াসে বলতে শুরু করে সে। যেকোনও সংখ্যা এলোমেলো করে রেখে প্রশ্ন করা হলে সঠিক সংখ্যাটি চিনে ফেলতে পারে। প্রশ্ন করা যেকোনও বর্ণ, সংখ্যা, সবজি হাতে নিয়েই দেখিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি অস্পষ্ট ভাষায় বলতে শুরু করে। এতটুকু বয়সে এমন প্রতিভার জন্য ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম উঠেছে এই বিস্ময় শিশুর। সম্প্রতি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের শংসাপত্র পেয়েছে হৃদান। এখনকার দিনে যেখানে শিশুরা ছোট থেকেই ক্রমে মোবাইল আসক্ত হয়ে পড়ছে, সেখানে হৃদানের পড়াশোনার প্রতি ভালোবাসা সত্যিই প্রশংসনীয়। বাবা সুব্রত মিত্র পেশায় চিকিৎসক। মা দীপাঙ্কণা ভট্টাচার্য মিত্র প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। মায়ের কর্মসূত্রে নাগরাকাটার সুভাষপল্লীতে দাদুর বাড়ি থাকে হৃদান। নাতির নাম ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে ওঠায় অত্যন্ত আনন্দিত দিদা মৌসুমী ভট্টাচার্য। তার কথায়, পরিষ্কার করে কথা বলতে না পারলেও এলোমেলো বর্ণাক্ষর থেকে যেকোনও বর্ণ জানতে চাইলে নাতি সঠিক উত্তর দেয় নিমেশেই। মাত্র ৭ মাস বয়স থেকেই এই বিস্ময় শিশু অন্যসব খেলনা বাদ দিয়ে পড়ার বই আগ্রহ সহকারে দেখত। মাত্র ১ বছর ৭ মাস বয়সে ক্ষুদের এমন পরিচিতি হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই আনন্দের আমেজ পরিবার সহ গোটা এলাকা জুড়ে।