জলপাইগুড়ি: বড়দিনের আগের দিন শহরের বুকে দেখা মিলল এক অদ্ভুত উচ্ছ্বাসের। সান্তাক্লজ সেজে শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে ব্যস্ত ভোলা মন্ডল। এবছর তার সান্তাক্লজ সাজার ৫০ বছর পূর্তি। ডাক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত এই কর্মী প্রতিবছরের মতো এবারও শিশুদের মনোরঞ্জন করছেন এবং রকমারি উপহার তুলে দিচ্ছেন।
২৫ ডিসেম্বর উপলক্ষে ভোলা মন্ডল তার লাল পোশাক, সাদা দাড়ি, এবং বিখ্যাত লাল ব্যাগ নিয়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ব্যাগে আছে নানা রকমের খেলনা এবং চকলেট। শুধু শহরের রাস্তায় নয়, শিশুদের দেওয়া চিঠির ভিত্তিতে তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়েও উপহার তুলে দিচ্ছেন। ছোটদের আনন্দ দিতে তিনি একটি বাইক নিয়ে সান্তাক্লজের সাজে সেজে শহরজুড়ে ছুটছেন।

ভোলা মন্ডল জানান, “সান্তাক্লজের ভূমিকায় শিশুদের খুশি করা আমার কাছে অপরিসীম আনন্দের। প্রতিবার যখন কোনো শিশু উপহার পায়, তার হাসি আমার হৃদয়ে গভীর আনন্দ বয়ে আনে।”
শহরের খুদেরা প্রতি বছরই সান্তাক্লজের কাছে চিঠি পাঠায়, আর ভোলা মন্ডল সেই চিঠির উত্তর দিয়ে তাদের আশা পূরণ করেন। এই পঞ্চাশ বছরের যাত্রায় তিনি হয়ে উঠেছেন জলপাইগুড়ির সবার প্রিয় সান্তা। তার এই উদ্যোগ জলপাইগুড়ি শহরে বড়দিনের উদযাপনকে আরও বিশেষ করে তোলে।
আগামীকাল 25শে ডিসেম্বর, আর তার আগে সান্তাক্লজ সেজে শিশুদের মনোরঞ্জন করে যাচ্ছেন জলপাইগুড়ির ভোলা মন্ডল। এবার তার সান্তাক্লজ সাজার পঞ্চাশ বছর পূর্তি হল। তিনি ডাক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ছিলেন। ভোলা মন্ডল প্রতিবছরই সান্তাক্লজ সেজে শিশুদের মনোরঞ্জনের সাথে রকমারি উপহার তুলে দেন। এবারও ২৫শে ডিসেম্বর উপলক্ষে সান্তাক্লজ সেজে তার ব্যাগের ঝুলিতে নানা রকমের খেলনা নিয়ে শহরের বুকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং শিশুদের বিভিন্ন উপহার তুলে দিচ্ছেন। প্রতিবছরের মতো এবছরও জলপাইগুড়ির খুদেরা তাদের সান্তা কে চিঠি দিয়েছে, আর সেইসব চিঠির উত্তর ও উপহার দিতে বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন জলপাইগুড়ির সান্তা। একটি বাইক ও হাতে লাল ব্যাগের ঝোলা যেখানে খেলনার ভান্ডার সেটি নিয়ে ছুটছেন। এবিষয়ে তিনি বলেন, এই ধরনের সাজে তার মনে দারুন ভাবে আনন্দ দেয়।