অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণে জলপাইগুড়ির ভূমিকা (ভিডিও সহ)

অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণে জলপাইগুড়ির ভূমিকা। স্বর্ণাক্ষরে রাম মন্দিরে লেখা থাকবে বাংলার নাম, কিছুই ভুলিনি আজও, বললেন জলপাইগুড়ির দুই কর সেবক। আগামী ২২ শে জানুয়ারি পর্যন্ত একবেলা আহার করছে ৯২ সালে অযোধ্যায় ঐতিহাসিক কর সেবায় যোগ দিয়ে জেল খাটা স্বামী, আনন্দে আত্নহারা ওপর এক পল্টন প্রমুখ।

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২০ জানুয়ারি’২৪ : আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি দিন, তারপরেই ভারতবর্ষে সৃষ্টি হতে চলছে স্বাধীনতা আন্দোলনের পর সব থেকে বড় ইতিহাস। ইতিমধ্যেই সমগ্র দেশের সঙ্গে নানান কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে উত্তরের জনপদের জলপাইগুড়ি শহরের আনাচেকানাচে শুরু হয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দিরে পুরুষোত্তম রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনটিকে স্বরনীয় করে রাখার নানান অনুষ্ঠান। পুরসভার কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডে নির্মাণ করা হয়েছে রামের সুউচ্চ মূর্তি, দোকানে বিকোচ্ছে গেরুয়া ধবজা। এরই মাঝে নিজ নিজ বাস ভবনে আনন্দে আত্নহারা লক্ষ লক্ষ কর সেবকদের মধ্যে জলপাইগুড়ি থেকে অংশ নেওয়া দুই ব্যাক্তি।

১৯৯২ সালের ৬ ই ডিসেম্বরের সেই স্মৃতি আজও তাজা জলপাইগুড়ি জেলার দেড়শ কর সেবকদের নেতৃত্বে থাকা পল্টন প্রমূখ দেবাশীষ লালা। সেদিনের কথা বলতে গিয়ে দেবাশীষ বাবু বলেন, আমরা যখন অযোধ্যায় পৌঁছলাম তার আগে থেকেই লক্ষ লক্ষ কর সেবক সেখানে হাজির ছিলেন। ছয় ডিসেম্বর উচ্চ নেতৃত্বের বক্তৃতা চলছিল তারই মধ্যে কিছু কর সেবক পেছন দিক থেকে শাবল, গাইতি হাতে মূল ধাচার ওপরে উঠে পরে এরপর আমরাও হাত লাগাই ভেতরে থাকা গর্ভগৃহ থেকে রামলালাকে উদ্ধারের কাজে।

ওপর এক কর সেবক তরুণ মাহাতো নিজের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে বলেন, দু সপ্তাহ জেলে ছিলাম। এই রাম মন্দির নির্মাণে বাংলার নাম চিরকাল স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, কারন কলকাতার দুই সহোদর ভাই কর সেবক শরৎ কোঠারি এবং রাম কোঠারি এই রাম মন্দির নির্মাণের আন্দোলনে আত্মাহুতি দেওয়ার জন্য। আজ সেই সময়ের অনেকেই নেই ইহলোকে, তাদের কথা যেমন মনে পড়ছে তার সঙ্গে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আজ স্বপ্ন সফল হচ্ছে এটা দেখে যেতে পারছি, এই জীবনের এটাই বড় প্রাপ্তি।

যদিও শুধুই যে রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার আনন্দে ভাসছে মানুষ তাই নয়, ৯২ সালে কর সেবায় যোগ দেওয়া স্বামীর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জলপাইগুড়িবাসী প্রভাতী মাহাতো জানালেন, গত কয়েকদিন ধরে ভোর থেকেই উনি শুরু করেছেন রামনাম। তার থেকেও বড় কথা বেশ কিছু দিন থেকে দিনে একবার আহার করছেন, কারন জানতে চাইলে বলেন ২২ শে জানুয়ারির পর দুবেলা খাবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *