সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৬ আগস্ট : জল্পেশ মন্দিরের গর্ভগৃহে পুণ্যার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে জল ঢালার ব্যাবস্থা করার নির্দেশ জেলা প্রশাসনকে।
জল্পেশ মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢোকার পথ অপ্রশস্ত এবং শ্রাবণ মাসের সোমবার প্রবল ভিড় হচ্ছে পুণ্যার্থীরা অসুস্থ হচ্ছে জানিয়ে কোলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছিলেন জলপাইগুড়ির এক বাসিন্দা। এরপর জল্পেশ মন্দিরে পুণ্যার্থীদের প্রবেশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় কোলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের। জল্পেশে অত্যধিক ভিড় সংক্রান্ত একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়মের কথা জানালেন। এদিন এই মামলা প্রসঙ্গে পুলিশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও মন্দির কমিটিকে বেশ কিছু নিয়মবিধির কথা বলা হয়েছে। প্রথমত, আগামী দুদিন রবিবার ও সোমবার জল্পেশ এর গর্ভগৃহে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। তার পরিবর্তে মন্দিরের বাইরে তিনটি হাড়ি বা ওই ধরনের কিছু ব্যবস্থা রাখা হবে যাতে পুণ্যার্থীরা জল ও দুধ ঢালতে পারেন এবং সেখান থেকে চ্যানেলের মাধ্যমে সরাসরি ওই জল ও দুধ মন্দিরের ভেতরে শিবলিঙ্গে পড়ার ব্যবস্থা থাকবে। এজন্য সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ ও ভলেন্টিয়ার মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি আগামী বুধবারে এর ওপর একটি রিপোর্ট হাইকোর্ট এ জমা করতে হবে। যেহেতু পূণ্যার্থীরা এবার ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না, তাই ওই দুইদিন অর্থাৎ আগামী রবি ও সোমবার তাদের কাছ থেকে টিকিট কালেকশন করা যাবে না।
এই তথ্য জানিয়ে আজ সরকারি পক্ষের আইনজীবী বিক্রমাদিত্য ঘোষ বলেন, এর আগে গর্ভগৃহে একজন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পাশাপাশি কোভিড প্রটোকল যাতে মানা হয়, তার জন্যই এই ধরনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলাটির পিটিশনার ছিলেন রাজকুমার দাস বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জল্পেশ মন্দির কমিটির সম্পাদক গিরীন্দ্রনাথ দেব বলেন, জল্পেশে মন্দিরের ভেতর অত্যাধিক ভিড়ে পদপৃষ্ঠ হওয়ার একটি সম্ভাবনা থাকে এই কারণেই মাননীয় বিচারপতি আজ এই রায় দিয়েছেন একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে। এই নিয়মবিধির ফলে অর্থনৈতিকভাবে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হবে তাদের বলে জানান তিনি।