জলপাইগুড়ি, ১২ জুন: তরুণী পুষ্পা ছেত্রী হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবিতে গতকাল উত্তাল হল জলপাইগুড়ি জেলা আদালত চত্বর। আদিবাসী ও গোর্খা সম্প্রদায়ের যৌথ মঞ্চ ‘আদিবাসী গোর্খা যুক্ত কমিটি’-র ডাকে অনুষ্ঠিত হয় এক শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি।

বুধবার, দুপুরে জেলা আদালত চত্বরে ‘জাস্টিস ফর পুষ্পা ছেত্রী’ লেখা ব্যানার হাতে সংগঠনের সদস্যরা দাঁড়িয়ে ন্যায়বিচারের দাবি জানান। প্রতিবাদীদের দাবি, ২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর, তিস্তা নদীর পাড়ের টোটগাঁওয়ের বাসিন্দা পুষ্পা ছেত্রী-কে শিলিগুড়িতে গলা কেটে নৃশংসভাবে খুন করা হয়।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জীবিকার সন্ধানে পুষ্পা শিলিগুড়িতে ছিলেন। ঘটনার পরপরই পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ তদন্তে নামে এবং চারজনকে গ্রেফতার করে।
তবে ধৃতদের মধ্যে কয়েকজন ইতিমধ্যেই জামিনে মুক্তি পেয়েছে, যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আদিবাসী ও গোর্খা সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

একজন আন্দোলনকারী বলেন, “একটি তরুণীর ওপর এমন পাশবিক হামলা হয়েছিল, অথচ অভিযুক্তরা জামিনে ঘুরে বেড়াচ্ছে— এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
সংগঠনের দাবি, পুষ্পা হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রত্যেক অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এই মামলা যেন উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায়, যাতে সমাজে আর কোনও পুষ্পা ছেত্রী এরকম ভয়ঙ্কর পরিণতির শিকার না হন।
এদিনের কর্মসূচিতে বক্তারা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান, যাতে দ্রুত মামলার শুনানি শেষ করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয়। পাশাপাশি নারী সুরক্ষার ক্ষেত্রেও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি তোলেন তারা।
সংগঠনের এক মুখপাত্র জানান, “এই প্রতিবাদ শুধু পুষ্পার জন্য নয়, সব মেয়ের নিরাপত্তার প্রশ্নে। বিচার চাই, বিলম্ব নয়।”
জেলা আদালতের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সেই প্রতিবাদীরা যেন আজ সমাজের প্রতিধ্বনি— বিচার চাই, আজই চাই।