জলপাইগুড়ি : প্রবীণ সাংবাদিক জ্যোতি সরকার নিজের শারীরিক অসুস্থতাকে উপেক্ষা করেও মাত্র ৬০ দিনে লিখে ফেলেছেন তাঁর তৃতীয় বই “চা-এর অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ”। সোমবার বিকেলে জলপাইগুড়ির স্টুডেন্টস হেলথ হোমে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হল তাঁর নতুন বইটি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডঃ আনন্দগোপাল ঘোষ, ডঃ নীলাংশু শেখর দাস, ডঃ রূপন সরকার, ডঃ জ্যোতির্ময় ঝম্পটি, সাহিত্যিক মণিদীপা নন্দী বিশ্বাস, সাংবাদিক নির্মল ঘোষ, পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রলয়কান্তি চক্রবর্তী এবং সমাজসেবী শিশির রায় নাথ-সহ আরও অনেকে।

দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে চা-বাগানের শ্রমিকদের জীবনযাত্রা থেকে শুরু করে চা-শিল্পের উত্থান- পতন, বর্তমান সংকট এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনা— সবই খুব কাছ থেকে দেখেছেন জ্যোতি সরকার। সেই অভিজ্ঞতার নির্যাসই তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর এই বইতে।
বইটি হাতে নিয়ে লেখক বলেন, “শরীর কিছুটা দুর্বল হলেও মনের শক্তি অটুট। চায়ের ইতিহাস, বর্তমান সংকট এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে পাঠকদের সামনে তুলে ধরতে পেরে আমি আনন্দিত।” উপস্থিত অতিথিরাও তাঁর লেখার ধারা, গবেষণা এবং অধ্যবসায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এর আগেও জনপ্রিয়তা পেয়েছে তাঁর লেখা
এর আগে “সাংবাদিকের ডায়েরি” ও “বীরপাড়া হাইস্কুল: স্বপ্ন ও বাস্তবতা” বই দুটি পাঠকমহলে সমাদৃত হয়েছিল। নতুন এই বইটিও চা-শিল্প ও ইতিহাস নিয়ে গবেষকদের, পাঠকদের এবং আগ্রহীদের জন্য এক মূল্যবান সংযোজন হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন সকলে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা লেখকের সুস্থতা কামনা করে বলেন, “জ্যোতি সরকারের মতো একনিষ্ঠ সাংবাদিক ও লেখকের কাজ আরও বহুদূর গড়াক। তাঁর কলম থেমে না যাক।” জ্যোতি সরকার সকলের ভালোবাসায় আপ্লুত হয়ে ধন্যবাদ জানান এবং পাঠকদের জন্য তাঁর লেখা চা-সংক্রান্ত এই গুরুত্বপূর্ণ দলিলটি আগ্রহের সঙ্গে পড়ার আহ্বান জানান।