জলপাইগুড়ি, ১৮ জুন: নাবালিকাকে অপহরণ করে আটকে রেখে যৌন নিগ্রহের ঘটনায় বুধবার জলপাইগুড়ি পকসো আদালত এক গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করলো। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়ার শেষে বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক রিন্টু সুর অভিযুক্তকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই মাসের জেল দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এই জঘন্য অপরাধটি ঘটেছিল ২০২৪ সালে ভোরের আলো থানার অন্তর্গত এলাকায়। ঘটনায় যুক্ত থাকা এক ব্যক্তি এক নাবালিকাকে অপহরণ করে আটকে রেখে যৌন নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করে এবং মামলার চার্জশিট দাখিল করে।

এই মামলায় মোট ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর বিচারক অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে কড়া শাস্তির নির্দেশ দেন।
রায় অনুযায়ী, জেলা লিগাল সার্ভিস অথরিটির পক্ষ থেকে ভিকটিমকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই অর্থ ভবিষ্যতে তার পুনর্বাসন ও নিরাপত্তার কাজে ব্যবহার হবে বলে জানানো হয়েছে।
সহকারী সরকারি আইনজীবী দেবাশীষ দত্ত বলেন, “এই রায় সমাজকে বার্তা দেয় যে, শিশুদের উপর কোনো ধরনের অপরাধ সহ্য করা হবে না। আমরা কঠোরতম শাস্তির পক্ষেই ছিলাম এবং তা আদালত মঞ্জুর করেছে।”
এই রায় শুধুমাত্র একটি ন্যায়বিচারের উদাহরণ নয়, বরং নাবালিকাদের নিরাপত্তা ও ন্যায় পাওয়ার পথে এক দৃঢ় পদক্ষেপ হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে। সমাজে সচেতনতা বাড়াতে ও অপরাধীদের রুখতে এমন কড়া বার্তা অত্যন্ত জরুরি বলে মত আইন বিশেষজ্ঞদের।