সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১ অক্টোবর : করোনা পরিস্থিতি এবার স্বাভাবিক থাকায় জাঁকজমকভাবেই দুর্গাপূজার আয়োজন জলপাইগুড়ি বৈকন্ঠপুর রাজবাড়িতে। পুজোর শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে রাজবাড়ীতে। ৫১৩ বছরের পুজো এবার। আর রাজবাড়ির পুজোকে কেন্দ্র করে সেজে উঠেছে জলপাইগুড়ি বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ি। ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ীর এই দুর্গা প্রতিমার বৈশিষ্ট্য রয়েছে অনেক।

আর পাঁচটি পূজোর থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন এখানকার দুর্গাপুজো। কেননা, অতিরিক্ত আরো পাঁচটি মূর্তির সহাবস্থান রয়েছে দেবী দুর্গার সাথে। মায়ের গায়ের রঙ তপ্ত কাঞ্জন বর্ণ। কালিকাপুরাণ মতে এখানে পূজো হয়। দেবী দুর্গার সাথে জয়া, বিজয়া, ব্রহ্মা, মহেশ্বর, চন্ডীর মূর্তিও থাকে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য রাজা নেই, নেই রাজত্ব , তবে রয়ে গেছে রাজ পরিবারের দুর্গা পূজো।

জানা গেছে জলপাইগুড়ি তৎকালীন রাজা শিশু সিংহ ও কোচবিহারের রাজা বিশু সিংহের হাতে শুরু হওয়া বৈকুন্ঠপুর রাজ পরিবারের দুর্গা পূজো আজও বতর্মান। রাজবাড়ীর পুজোতে পুজোর চারদিন মা’কে আমিশ ভোগদেন রাজপরিবারের সদস্যরা । শুধু তাই নয় আজও নরবলির প্রথা মেনে চালের গুড়ো দিয়ে একটি পুতুল বানিয়ে বলি দেবার রীতি বতর্মান। জলপাইগুড়ির পুজো মানে বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ীর দুর্গা মন্দির চত্বরে ভিড়। অষ্টমীর দিন মা’কে আমিষ ভোগ দেওয়া হয়। ইলিশমাছ, পাবদা মাছ, পটল চিংড়ি সহ পাঁচ রকম মাছের আমিষ ভোগ দেওয়া হবে।

রাজপরিবারের সদস্য প্রনত বসু বলেন কালিকাপুরান মতে পুজো হয় এখানে। রাজবাড়ির পুজো মানেই জলপাইগুড়িবাসীর পুজো। এই দুর্গা প্রতিমার সাথে বাঘ ও সিং যেমন থাকে তেমনি জয়া ও বিজয়াও থাকে। মহালয়ার দিন কালি পুজো দিয়েই এই পুজোর সূচনা হয়ে গেছে (নিচের ভিডিওতে শুনুন প্রনত বাবুর মুখে রাজপরিবারের পূজার ইতিহাস)।