জেনে নিন “লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার” ধারাবাহিকের হংসিনীর আসল পরিচয়

ডিজিটাল ডেস্ক : জি বাংলা চ্যানেলে রাত দশটায় প্রচারিত হচ্ছে লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকের মূল চরিত্র লক্ষ্মী কাকিমার ভূমিকায় অভিনয় করা অপরাজিতা আঢ্যর সাথে চুটিয়ে অভিনয় করছেন জলপাইগুড়ির মেয়ে শার্লি মোদক। কি ভাবছেন এই শার্লি আবার কে? লক্ষ্মী কাকিমার ছোট ছেলের বউ হংসিনীর ভূমিকায় যে অভিনয় করছেন তারই আসল নাম হল শার্লি মোদক। আর এই শার্লি মোদক হল জলপাইগুড়ির মেয়ে। আসুন শার্লির সম্পর্কে আরো কিছু জেনে নিই।

শার্লির জন্ম বেড়ে উঠা জলপাইগুড়ি শহরে। শহরের সুনীতিবালা সদর গার্লস হাইস্কুল থেকে শার্লি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়। এরপর কলকাতায় সুরেন্দ্রনাথ ওমেন্স কলেজ থেকে জার্নালিজম নিয়ে পড়াশোনা শার্লির। সেখানে থাকাকালীন মডেলিং করতেন শার্লি। মডেলিং জগৎ থেকেই তার অভিনয় জগতে আসা। এক সাক্ষাৎকারে শার্লি জানিয়েছেন, আমার ছবি ফেসবুকে দেখে চ্যানেল থেকে কাস্টিং ডিরেক্টর কৃষ্ণাদি আমাকে ডাকেন। সেখানে গিয়ে আমি অডিশন দিই এবং তার কিছুদিন পরে লুক টেস্টের জন্য আমাকে ডাকা হয়। আর তারপরেই আমাকে ওঁরা জানান যে আমি কালারস বাংলা চ্যানেলের “চিরদিনী আমি যে তোমার” ধারাবাহিকের অনুরাধা চরিত্রের জন্য নির্বচিত হয়েছি। এরপর স্টার জলসা চ্যানেলের “ভাগ্যলক্ষ্মী” ধারাবাহিকের মাধ্যমে পরিচিত হয়ে ওঠা। আর এখন “লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার” ধারাবাহিকের মাধ্যমে বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছেন হংসিনী ওরফে শার্লি মোদক।

শার্লির পরিবারে মা বাবা ছাড়া রয়েছেন এক দিদি। শার্লি জানিয়েছেন, অভিনয় জগতে আসা নিয়ে তার মা বাবা খুব সাপোর্ট করেছিলেন। শুধু তাঁদের একটাই বক্তব্য ছিল, যেন অভিনয় করলেও পড়াশুনোটা ঠিকমতো চালিয়ে যেতে পারেন শার্লি। ছোটবেলায় ভীষণ দুষ্টু ছিলেন আজকের মিষ্টি এই মেয়েটি। একবার নাকি ক্লাস ফাইভ-সিক্সে পড়ার সময় বিছানা থেকে লাফ দিতে গিয়ে হাতের কাচের চুড়ি ভেঙে থুতনিতে কেটে গিয়েছিল শার্লির। সেই দাগ এখনও রয়ে গেছে। প্রেম নিয়েও শার্লি অকপট। বিগত দু’বছর ধরে মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্য নামের একজনের সাথে রিলেশনে আছেন শার্লি। মৃত্যুঞ্জয় আইটি সেক্টরে চাকরি করে এবং সে জলপাইগুড়ির বাসিন্দা। দু’জনের বাড়ির সবাই তাদের এই সম্পর্কের কথা জানে। জানা গেছে, শার্লি রান্না করতে ভালোবাসেন। তার হাতের তৈরি পায়েস সবার খুব প্রিয়। শার্লি কুকুর বিড়াল খুব ভালোবাসেন। শার্লি জানিয়েছেন, নিজের টাকায় গাড়ি বাড়ি করার ইচ্ছে আপাতত না থাকলেও একটা সুইফট ডিজায়ার কেনার ইচ্ছে আছে তার।

শার্লি লোকনাথ বাবাকে খুব বিশ্বাস করে। আর ভূতে খুব ভয় পান। তার মনে হয় ভূত আছে, ভয় দেখানোর জন্য। একজন শিল্পী হিসেবে অবশ্যই শার্লিও বড় পর্দায় অভিনয় করার স্বপ্ন দেখেন। আর তার স্বপ্নের চরিত্র হল চোখের বালির বিনোদিনী। অবসর মুহূর্তে আর পাঁচটা মেয়ের মতোই শার্লি শপিং করতে ভালোবাসেন, আর সিনেমা দেখা কিংবা ইউটিউবে ক্লিপিংস দেখে সময় কাটাতে পছন্দ করেন শার্লি।

picture credit Sharly Modak Instagram Account

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *