কলকাতা, ১৮ জুলাই ‘২৫: কলকাতার রবীন্দ্র সদন প্রেক্ষাগৃহে বৃহস্পতিবার এক অনন্য সাংস্কৃতিক আবহে সূচনা হল অঙ্কুরোদগম আয়োজিত বার্ষিক সাহিত্য-সংস্কৃতি উৎসব “কবিতা কল্লোল”-এর। দুপুরে এক উজ্জ্বল মুহূর্তে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় চারা গাছে জল প্রদান ও স্তোত্র সংগীতের মাধ্যমে। উদ্বোধনী ভাষণ দেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পদ্মশ্রী কাজি মাসুম আখতার, শুভেন্দু মাইতি, পন্ডিত স্বপন সেন, তপন বন্দ্যোপাধ্যায়, কুমকুম ভট্টাচার্য, কল্যাণ সেন বরাট ও সুমন সেনগুপ্ত-সহ বহু গুণীজন। এই উৎসব মূলত বিশ্ব বঙ্গ সাহিত্য সংস্কৃতি সমন্বয় মঞ্চের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে পাঁচ দিন ধরে চলবে সাহিত্য ও শিল্পের এক মহাযজ্ঞ। এদিন অঙ্কুরোদগম পত্রিকার প্রকাশনাও সম্পন্ন হয়।

বিশেষ আকর্ষণ হয়ে ওঠে জলপাইগুড়ির শিল্পীদের পরিবেশিত রাজবংশী ভাইওয়া গান। এক সময় জনপ্রিয় হলেও আজ বিলুপ্তপ্রায় এই গানকে নতুন করে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন শিল্পীরা।

উত্তর ২৪ পরগনার একদল চিকিৎসক নানা আঙ্গিকে সংগীত পরিবেশন করে দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান।
আরো পড়ুন : থ্রিলার গল্প : কুয়াশার প্রেতাত্মা ও এক গোয়েন্দা প্রত্যাবর্তন
কলকাতার শিল্পীদের উদ্যোগে সলিল চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি স্বরূপ গীতিনাট্য পরিবেশনা ছিল অত্যন্ত আবেগঘন। সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন কুমকুম ভট্টাচার্য, সঞ্চালনায় ইন্দ্রজিৎ ভট্টাচার্য।

রবীন্দ্র-নজরুল কবিতা কোলাজ পরিচালনা করেন রঞ্জনা কর্মকার, যা দর্শকদের সাহিত্যরসে ভরিয়ে দেয়।
আরো পড়ুন : হরর গল্প : অদেখা আঁতুড়ঘরের আহ্বান
হাওড়ার শিল্পীদের উপস্থাপনায় “রক্তকরবী”-র শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানটির অন্যতম আকর্ষণ হয়ে ওঠে, যার সঙ্গীত পরিচালনা করেন নীপা বসু।

এই সাহিত্য-সংস্কৃতির মহোৎসব যেন কবিতার, সুরের আর মাটির ঘ্রাণে এক ঐক্যবদ্ধ বাংলা গড়ে তোলার প্রয়াস।
আরো পড়ুন : মানবিক গল্প : মায়ের কান্না
আরো পড়ুন : ভৌতিক/ রহস্য গল্প : বুমসিরার বাটি
সৈকত ঘোষ, ভবেশ পাত্রের কন্ঠে ছিল এক আলাদা মাধুর্য, বাঁকুড়ার ছোটদের নৃত্য খুবই উপভোগ্য ছিল। প্রবীণ লোক শিল্পী ও গবেষক শুভেন্দু মাইতির গান অনেকদিন পর শুনতে পেলাম। ভালো লাগলো। কোচবিহারের শিল্পীরা রবীন্দ্রনাথের বর্ষার “মেঘমল্লার” কবিতা, গানে, নৃত্যে ভরপুর হয়ে উঠে। কলকাতার সভাপতি তাপস মহাপাত্র ও সম্পাদক নমিতা দাসের অক্লান্ত পরিশ্রমের -কবিতা কল্লোল সাহিত্য ও সংস্কৃতির এক নতুন দিগন্তের দিকে এগিয়ে চলেছে বলে সাংস্কৃতিক জগতের বিশিষ্ট জনেরা মনে করেন !