সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২ নভেম্বর’২৩ : ১৪ দিন জেল হেফাজতের পর জলপাইগুড়ি দম্পতির আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা উপ পুরপ্রধান সৈকত চ্যাটার্জীর শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর হল বুধবার। এদিন হাজত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সৈকত চ্যাটার্জী বলেন, বিজেপি ও কিছু বিরোধীদের রাজনৈতিক চক্রান্তের বিরুদ্ধে আইনের জয় হল।

সুইসাইডাল নোটে একটা অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে ছিল, যে আমি শিশু পাচারের সাথে যুক্ত। কিন্তু সেই শিশু পাচার মামলার অভিযোগে এবং চার্জশিটে আমার নাম নেই। সেই সুইসাইড নোটের সত্যতা নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে বলে এদিনও মন্তব্য করেন সৈকত। তিনি আরো বলেন, কোথাও একটা প্রমাণও নেই যে এই মামলায় আমি যুক্ত রয়েছি। তাছাড়া আমি সবসময় তদন্তে সহযোগিতা করেছি।
আরো পড়ুন : অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেন জলপাইগুড়ির যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জী
আদালত আজ দীর্ঘ শুনানির পর সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে আমাকে ২০ হাজার টাকার বন্ডে অন্তবর্তী জামিনে মুক্তি দিয়েছে। আমি জানি এরপরেও অনেক নোংরা ষড়যন্ত্র চক্রান্ত হবে আমার বিরুদ্ধে। মানুষের পরিসেবাই আমার রাজনৈতিক জীবনের মূল লক্ষ্য। আপনি এতদিন আইনি লড়াই লড়লেন, এতদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, আপনার পাশে জেলার নেতাদের দেখা গেল না কেন? জনৈক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের উত্তরে সৈকত বলেন, কেন দুলাল দেবনাথ কে তো দেখেছেন পাশে। কিন্তু জেলা সভাপতি? সাংবাদিকের করা এই প্রশ্নের উত্তরে রহস্যময় হাসি হেসে সৈকত জানান, নো কমেন্টস। সৈকতের এই নো কমেন্টস জবাব অনেক প্রশ্নের উত্তর যেন দিয়ে গেল।