রাহুল মন্ডল, মালদা : তৃণমূল সহ বিভিন্ন দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান কয়েকজন নেতৃত্ব সহ কয়েকশ কর্মীর। রবিবার দুপুরে মানিকচক ব্লক কমিউনিটি হলে যোগদান শিবিরের আয়োজন করে কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেখানেই বর্তমান তৃণমূলের কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সহ মানিকচক ব্লক মাইনরিটি সেলের সভাপতি যোগদান করে বলে দাবি জানান মানিকচক বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক মোত্তাকিন আলম।

অন্যদিকে এই যোগদানকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। তিনি জানান, তৃণমূলের মাইনরিটি সেলের সভাপতি বলে যাকে দাবি করা হচ্ছে, বহুদিন আগেই দলীয় নেতৃত্বে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। আজকে যারা যোগদান করল তারা কেউ তৃণমূলের কর্মী নয়।
এই দিনের কর্মসূচিতে যোগদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের নেতা প্রাক্তন বিধায়ক অর্জুন হালদার, প্রাক্তন বিধায়ক ইসা খান চৌধুরী, মানিকচকের প্রাক্তন বিধায়ক মোত্তাকিন আলম, মানিকচক ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি মতিউর রহমান সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। যোগদান শিবিরে যোগদানকারীদের হাতে কংগ্রেসের পতাকা তুলে দিয়ে দলীয়ভাবে আহ্বান জানান উপস্থিত কংগ্রেসের নেতৃত্বরা। আগামীতে মানিকচকের লড়াইয়ের মাটি শক্ত হবে বলে দাবি নেতৃত্বের।

পাশাপাশি আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই যোগদানের ফলে কংগ্রেসের শক্তি বৃদ্ধি হবে মানিকচক জুড়ে বলে আশাবাদী কংগ্রেস নেতৃত্ব। এদিনের যোগদান শিবির প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা মোত্তাকিন আলম, ইসা খান বলেন, মানিকচকের মাটি কংগ্রেসের মাটি। আগামীতে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট। সেই নির্বাচনকে লক্ষ্য করে দলের কর্মী সমর্থকরা আবারো ফিরতে শুরু করেছে জাতীয় কংগ্রেসের পতাকা ধরে। আগামীতে আরও যোগদান করবে বহু কর্মী সমর্থকরা। তৃণমূল, বিজেপি ছেড়ে নেতৃত্ব সহ অসংখ্য মানুষ যোগদান করবে জাতীয় কংগ্রেসে। ফলে শক্তিশালী হবে দল। আজকের যোগদান শিবিরে কয়েকশো কর্মীসহ বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য ও মানিকচক ব্লক মাইনোরিটি সেলের সভাপতি যোগদান করেছে জাতীয় কংগ্রেসে। ধীরে ধীরে আরো বহু মানুষ যোগদান করবে বলে দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী তথা মানিকচক বিধানসভার বিধায়িকা সাবিত্রী মিত্র সাফ জানিয়েছেন আমাদের তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে কেউ জাতীয় কংগ্রেসের যোগদান করেনি। যারা আজ কংগ্রেসে যোগদান করেছে তারা সবাই তৃণমূল কংগ্রেস থেকে প্রায় এক বছর আগেই দলবিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছে। তারা আর তৃণমূলের নেই। ফলে যারা যোগদান করেছে তারা বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেছে তৃণমূল ছেড়ে নয়। এরকম ভুল বার্তা দিয়ে সাধারণ মানুষকে বোকা বানানো যাবেনা। সাধারণ মানুষ সজাগ দৃষ্টি দিয়ে রেখেছে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর আগামীতে তারাই বেছে নেবে কোনটা সঠিক।