হায়দরাবাদকে উড়িয়ে আইপিএলে প্রথম জয় লখনউ সুপার জায়ান্টসের
হায়দরাবাদ: শার্দূল ঠাকুরের বিধ্বংসী বোলিং এবং নিকোলাস পুরানের দাপুটে ব্যাটিংয়ে ১৯১ রানের লক্ষ্য মাত্র ২৩ বল বাকি থাকতেই অনায়াসে পার করে দিল লখনউ সুপার জায়ান্টস (LSG)। এই জয়ের মাধ্যমে চলতি আইপিএলে প্রথম জয় তুলে নিল লখনউ।
হায়দরাবাদের হয়ে ঝড় তুললেন ট্র্যাভিস হেড, অনিকেত বর্মা
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন ট্র্যাভিস হেড। মাত্র ২৮ বলে ৪৭ রান করেন তিনি। তবে একের পর এক উইকেট হারানোয় বড় রানের সম্ভাবনা নষ্ট হয় হায়দরাবাদের।
শেষদিকে অনিকেত বর্মার ১৩ বলে ৩৬ রানের ইনিংস দলকে সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছে দেয়। তবে দুশো পেরোতে পারেনি তারা, ৯ উইকেটে ১৯০ রানেই থেমে যায় হায়দরাবাদের ইনিংস।

শার্দূল ঠাকুরের দুরন্ত বোলিং:
যে শার্দূল ঠাকুর নিলামের প্রথম পর্বে দল পাননি, সেই তিনিই এদিন ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে লখনউকে দারুণ শুরু এনে দেন।
নিকোলাস পুরানের ব্যাটে বিধ্বংসী ইনিংস, সহজ জয় লখনউয়ের
১৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে লখনউ। প্রথম ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে বাজিমাত করেন অভিষেক শর্মা। তবে এরপরই ঝড় তোলেন নিকোলাস পুরান ও মিচেল মার্শ।
পুরানের বিস্ফোরক ইনিংস:
পুরান মাত্র ২৬ বলে ৭০ রান করেন, যাতে ছিল ৬টি চার ও ৬টি ছয়! পাওয়ার প্লে-তেই লখনউ স্কোরবোর্ডে ৭৭ রান তুলে নেয়।
পুরানের বিদায়ের পর কিছুটা রক্ষণাত্মক খেলেন মার্শ, তবে তিনি ৩১ বলে ৫২ রান করে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে দেন। যদিও লখনউ অধিনায়ক ঋষভ পন্থের ১৫ বলে ১৫ রানের ধীর ইনিংস দলকে কিছুটা চাপে ফেলে দেয়।
শেষপর্যন্ত আব্দুল সামাদের ৮ বলে ২২ রান ও ডেভিড মিলারের ৭ বলে ১৩ রানের ইনিংস দলকে সহজ জয় এনে দেয়।
সমালোচনার মুখে হায়দরাবাদের বোলিং বিভাগ
হায়দরাবাদের বোলিং লাইনআপে কামিন্সের কিছু মুহূর্ত ভালো গেলেও বোলারদের ছন্নছাড়া পারফরম্যান্স দলকে ভুগিয়েছে। অভিষেক শর্মার প্রথম ওভার ভালো হলেও দ্বিতীয় ওভারে ১৮ রান খরচ করেন।
লখনউয়ের ব্যাটিংয়ের দাপটে হায়দরাবাদের দেওয়া ১৯১ রানের লক্ষ্যও ছোট হয়ে যায়। মাত্র ১৬.১ ওভারেই ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লখনউ।
এই জয়ের ফলে প্রথম পয়েন্ট পেল লখনউ সুপার জায়ান্টস। অন্যদিকে, হায়দরাবাদকে নিজেদের বোলিং নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।
ছবি সংগৃহিত