জলপাইগুড়ি: বীরভূমের বিতর্কিত প্রাক্তন তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এক পুলিশ আধিকারিক ও তাঁর পরিবারের মহিলাদের উদ্দেশ্যে অশ্রাব্য ভাষা ব্যাবহার করেন, আর সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া সেই অডিও ক্লিপ শোনার পর ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা রাজ্য। অডিও ক্লিপ ঘিরে উত্তাল বাংলার রাজনীতি। সেই অডিওতে বোলপুর থানার আইসিকে ফোনে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে শোনা যায় তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান নেতাকে। শুধু পুলিশ আধিকারিক নয়, ফোনালাপ চলাকালীন তাঁর স্ত্রী ও মাকেও কুরুচিকর মন্তব্যে বিদ্ধ করা হয়।

এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়িতে উত্তাল হয়ে ওঠে মহিলা কংগ্রেস। জেলা মহিলা কংগ্রেস কমিটির পক্ষ থেকে শহরের শান্তিপাড়া এলআইসি অফিস চত্বরে পথ অবরোধ ও কুশপুত্তলিকা দাহ করে অনুব্রত মণ্ডলের কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত, কংগ্রেস নেতা অম্লান মুন্সী সহ বহু কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থক।

এক মহিলা কংগ্রেস নেত্রী বলেন, “যে ভাষায় অনুব্রত মণ্ডল একজন নারী সম্পর্কে কথা বলেছেন, তা শুধু নিন্দনীয় নয়, গোটা নারী সমাজের প্রতি অবমাননার সামিল। এই ভাষা কোনও রাজনৈতিক নেতার হতে পারে না। একজন মাকে, একজন স্ত্রীর প্রতি এমন কুরুচিকর ভাষা ব্যবহার গোটা বাংলা সমাজকে কলঙ্কিত করেছে। বাংলার সংস্কৃতি, সভ্যতা আজ অপমানিত। এই রকম মানুষদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত, না হলে সমাজে ভুল বার্তা যাবে।”
একদিকে রাজ্যের শাসক দলের প্রভাবশালী নেতার মুখে এমন কুরুচিকর ভাষা ব্যবহারে হতবাক সচেতন সমাজ, অন্যদিকে মানুষের মধ্যে জন্ম নিচ্ছে প্রশ্ন— রাজনীতির রাশ কি আদৌ শালীনতার হাতে আছে?
দেখুন ভিডিও 👇