পিনাকী রঞ্জন পাল : সাধারণত পঁয়ত্রিশ বা চল্লিশ বছর বয়সে অনেকের চেহারায় বয়সের ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কিন্তু বলিউডের গ্ল্যামার কুইন মালাইকা আরোরা ৫১ বছর বয়সেও ধরে রেখেছেন তারুণ্য ও ফিটনেস। তার সৌন্দর্য, আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে তিনি বলিউডের ‘সেক্স গডেস’ হিসেবেও পরিচিত। এমন অবিচল তারুণ্যের পেছনে কী রহস্য লুকিয়ে আছে, তা জানার আগ্রহ অনেকেরই।
সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে মালাইকা তার দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস ও ফিটনেস রুটিন সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তার রূপ ও স্বাস্থ্য রক্ষার মূলমন্ত্র হলো সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত শরীরচর্চা এবং জীবনধারায় শৃঙ্খলা বজায় রাখা।
মালাইকার সকালের শুরু: স্বাস্থ্যকর জুস : মালাইকার দিন শুরু হয় তাজা ফল এবং সবজির জুস দিয়ে। তার সকালের খাবারে থাকে আপেল, বিটরুট ও গাজরের জুস, যার সঙ্গে যোগ করেন আদার রস। এই জুসে থাকা ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরকে বিষাক্ত পদার্থ থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে এবং তাকে সারাদিন কর্মক্ষম রাখে।
বেলা ১২টায়: অ্যাভোকাডো টোস্টের বিশেষ সংস্করণ : মালাইকা সকালের খাবারের পর দুপুরের দিকে খান অ্যাভোকাডো টোস্ট। তবে এই টোস্টে সাধারণ রুটির বদলে অ্যাভোকাডোর মোটা স্তরের মাঝে ডিম বা চিকেন যোগ করেন। এটি প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ, যা শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।
দুপুরের খাবার: পুষ্টিকর খিচুড়ি : দুপুর আড়াইটার খাবারের মেনুতে থাকে মালাইকার প্রিয় পুষ্টিকর খাবার খিচুড়ি। বিভিন্ন সবজি এবং ডাল দিয়ে তৈরি এই খাবার তার শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে।
বিকেলের স্ন্যাকস: এনার্জি-বর্ধক ফল : দুপুরের খাবারের পর বিকেল ৫টায় মালাইকা খান চেরি ও ব্লুবেরি। এই ফলগুলো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর, যা তার ত্বককে সতেজ রাখতে এবং শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
ফিটনেস ও রূপচর্চার গুরুত্ব : বারের পাশাপাশি মালাইকা তার রূপচর্চা ও শরীরচর্চায় অত্যন্ত যত্নশীল। নিয়মিত জিম সেশন, যোগব্যায়াম এবং ডান্স ওয়ার্কআউট তার ফিটনেস বজায় রাখতে সহায়ক।
প্রেরণা সবার জন্য : মালাইকার জীবনধারা প্রমাণ করে, বয়স কেবল একটি সংখ্যা। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চা এবং ইতিবাচক মানসিকতা বজায় রাখলে যে কেউ তাদের বয়সের তুলনায় অনেক বেশি তরুণ ও উদ্যমী থাকতে পারে।
মালাইকার তারুণ্য এবং ফিটনেসের রহস্য তার জীবনধারায় লুকিয়ে। স্বাস্থ্যকর খাবার এবং নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে কীভাবে দীর্ঘদিন ধরে সৌন্দর্য এবং সুস্থতা বজায় রাখা যায়, তা মালাইকা আমাদের শিখিয়ে দিয়েছেন। তিনি শুধু বলিউড নয়, সাধারণ মানুষের জন্যও অনুপ্রেরণা।