মাস্টার অফ সার্জারি পড়ার সুযোগ পেল মালদার মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক

রাহুল মন্ডল, মালদা, ২৪ এপ্রিল ২০২২ : নিট পিজি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মাস্টার অফ সার্জারি পড়ার সুযোগ পেল সরকারিভাবে মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার হেম নারায়ন ঝা। উল্লেখ্য প্রত্যেক বছরের মতো গত বছরও রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এমবিবিএস ডাক্তারদের মধ্যে নিট পিজি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে রাজ্যের অসংখ্য ডাক্তার অংশগ্রহণ করেন। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা যায় রাজ্যে কর্মরত জেনারেল ক্যাটাগরি সরকারি চিকিৎসকদের আসন সংখ্যা সীমিত ছিল মাত্র ১১ জনের। সেই পরীক্ষায় মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক হেম নারায়ন ঝা অংশগ্রহণ করেন এবং উত্তীর্ণ হন। মাস্টার অফ সার্জারি তিন বছরের পড়াশোনার জন্য সমস্ত দায়িত্বভার রাজ্য সরকারের বলে জানা যায়। এই পরীক্ষার ফলাফল বেশ কিছুদিন আগে প্রকাশিত হয়েছিল তবে গত ১৯ তারিখ রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে মানিকচকের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে সরকারিভাবে চিঠি পাঠানো হয় যাতে তিনি খুব তাড়াতাড়ি বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার জন্য জয়েন করেন।

প্রসঙ্গত গত পাঁচ বছর ধরে মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক এর দায়িত্ব সামলে এসেছেন তিনি। করোনা মহামারীর দিনে নিজের ও নিজের পরিবারের কথা ভুলে মানিকচক বাসীর পাশে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করেছে যা জেলার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা দেখা গিয়েছিল ডাক্তার হেম নারায়ন সাহা কে। পাশাপাশি মানিকচকের বন্যা কবলিত এলাকায় গিয়ে একাধিকবার স্বাস্থ্য শিবির ও বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা করে তিনি।

হেম নারায়ন বাবুর নেতৃত্বে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে উন্নত পরিকাঠামো ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য জেলা তথা রাজ্যে সম্মানিত হয়েছে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতাল। বেশ কয়েকবার তার কাজের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা থেকে সম্মানিত হয়েছে ডাক্তার হেম নারায়ন ঝা। সার্বিকভাবে এমন ডাক্তারবাবু মানিকচক থেকে চলে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সাধারণ মানুষের মধ্যে একটু হলেও দুঃখ দেখা দিয়েছে।

এই বিষয়ে ডাক্তার হেম নারায়ন ঝা জানান, খুব কঠিন ছিল এই পরীক্ষা তারপরও সুযোগ পেয়েছি। জীবনে আরও বড় কাজ করতে চাই তাই পড়াশোনাটাও খুব দরকার। আমি মানিকচক থেকে গেলেও মানিকচকের মানুষের পাশে সব সময় থাকবো । মাঝে মধ্যেই আসবো সবার সাথে দেখা করতে । রাজ্য সরকারের উদ্যোগে খুব তাড়াতাড়ি মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে পরিকাঠামোর আরো উন্নতি হবে। তাই হাসপাতালে উন্নয়নের পাশাপাশি আমাকেও শিক্ষাগত ও অভিজ্ঞতার দিক থেকেও আরো বড় হতে হবে তাই এ পড়াশোনা খুব দরকার ছিল।
মাস্টার অফ সার্জারি হওয়ার পরেও মালদা তথা মানিকচকের মানুষের জন্য কাজ করব বলে জানান ডাক্তারবাবু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *