জলপাইগুড়িতে দুই মেরুতে শহীদ স্মরণ; একুশে জুলাই পালনে কংগ্রেস ও তৃণমূলের পৃথক বার্তা

জলপাইগুড়ি, ২১ জুলাই : ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত ১৩ জন কংগ্রেস যুবকর্মীর স্মৃতিতে শহীদ দিবস পালনে আজ জলপাইগুড়ি শহরে এক অনন্য আবহ তৈরি হল। পৃথক কর্মসূচির মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস।

আজ জেলা কংগ্রেসের উদ্যোগে শহরের থানা মোড় রাজীব ভবনে আয়োজিত হয় একুশে জুলাই শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠান। জাতীয় কংগ্রেসের পতাকা হাতে যুবকর্মীদের আত্মবলিদান স্মরণ করে আজকের দিনটি পালন করা হয় যথাযোগ্য মর্যাদায়। উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত, জেলা যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতি নবেন্দু মল্লিক, কংগ্রেস নেতা গৌতম দাস সহ অন্যান্যরা। এই দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে পিনাকী সেনগুপ্ত কটাক্ষ করে বলেন, “১৯৯৮ সালে গঠিত একটি দল ১৯৯৩ সালের কংগ্রেসের শহীদ কর্মসূচিকে নিজেদের বলে চালাতে চাইছে। এটি ইতিহাস বিকৃতি ছাড়া কিছু নয়।”

অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের ডিস্ট্রিক্ট পুলকার অ্যাসোসিয়েশন-এর পক্ষ থেকেও আজ পালন করা হয় শহীদ দিবস। সভাপতি দীপঙ্কর বসু-র নেতৃত্বে পুলকার চালক, মালিক সহ অনেকে অংশ নেন শহীদ স্মরণে। তারা ১৩ জন শহীদের উদ্দেশে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন ও এক মিনিট নীরবতা পালন করে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। দীপঙ্কর বসু বলেন, “এই শহীদ দিবস আমাদের কাছে রাজনৈতিক দল নিরপেক্ষ এক মানবিক শ্রদ্ধার দিন। যাঁরা গণতন্ত্র রক্ষায় জীবন দিয়েছিলেন, তাঁদের চিরস্মরণীয় করে রাখাই আমাদের কর্তব্য।”

একুশে জুলাইয়ের এই শহীদ স্মরণ জলপাইগুড়িতে যেন রচে গেল ইতিহাস, রাজনীতি ও শ্রদ্ধার এক যুগল চিত্র—একই শহীদদের স্মরণে দুই শিবিরের ভিন্ন বার্তা, ভিন্ন দর্শন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *