বিকাশ সরকার, হলদিবাড়ি, ৩ জুন : জামাইষষ্ঠীর দিনে অন্যরকম দৃশ্যের সাক্ষী থাকল মেখলিগঞ্জের শৌলমারী এলাকা। প্রেমিককে স্বামী হিসেবে পেতে মরিয়া এক নাবালিকা প্রেমিকা রবিবার ধর্নায় বসেছে প্রেমিকের বাড়ির সামনে। প্রেমিকের বাড়ির দরজায় বসে তার স্পষ্ট দাবি—”চন্দন বর্মনকেই আমি বিয়ে করব।”

জানা গিয়েছে, গত পাঁচ মাস ধরে চন্দনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল ওই নাবালিকা। শনিবার পিতা মাতার চাপের কারণে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসে চন্দনের বাড়িতে পৌঁছায় সে। কিন্তু বয়স কম হওয়ায়, প্রেমিকের পরিবারের তরফ থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয়। তবে এতেই দমেনি প্রেমিকা। পরদিন রবিবার সকালে আবার এসে বসে পড়ে প্রেমিকের বাড়ির সামনে—ধর্নায়।

ঘটনাটি ঘটেছে রানীরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ১৮৩ শৌলমারী এলাকায়। নাবালিকার দাবি, “বয়স যাই হোক, আমি চন্দনকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করব না। ভালোবাসার কাছে সমাজ বা বয়স কোনও বাধা হতে পারে না।”
এই দৃশ্য মুহূর্তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে দেয় গোটা এলাকায়। আশপাশের গ্রামের লোকজন ভিড় জমিয়ে যায় ধর্নাস্থলে। কেউ পাশে দাঁড়ান, কেউ আবার প্রশ্ন তোলেন নাবালিকাকে এই বয়সেই এমন পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে।

চন্দনের পরিবার এই পরিস্থিতিতে কিছুটা কোণঠাসা। ছেলের মা জানান, “মেয়েটার সঙ্গে আমাদের কোনও বিরোধ নেই। আমরা বিয়েতে রাজি। কিন্তু এখন ওর বয়স আইনি সীমার নিচে। তাই এখনও বিয়ে সম্ভব নয়। বয়স হলে আমরা কথা বলব।”
তবে প্রেমিক চন্দন বর্মন বর্তমানে পলাতক। তাকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এলাকাবাসী বলছেন, “এমন ঘটনায় এলাকায় প্রথমবার। ছেলেটি যদি পালিয়ে থাকে, তবে সেটা কি সম্পর্কের দায় এড়ানো নয়?”
বর্তমানে স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টির উপর নজর রাখছে। আইনত, নাবালিকার বিয়ে বৈধ নয়, তাই পুলিশি হস্তক্ষেপের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকে। তবে প্রেম-আবেগ-আইন—এই তিনের টানাপোড়েনে কী মোড় নেয় এই কাহিনি, তা দেখার অপেক্ষায় গোটা শৌলমারী।