মানুষ ভোট পারলে নৈহাটিতে মিরাকেল ঘটবে দাবি নৈহাটি কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী পরেশ নাথ সরকারের

বিশ্বজিৎ নাথ : মানুষ ভোট দিতে পারলে কিংবা ভোট লুট রুখতে পারলে নৈহাটিতে মিরাকেল ঘটবে। এমনটাই দাবি করলেন নৈহাটি কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের কংগ্রেস প্রার্থী পরেশ নাথ সরকার। প্রসঙ্গত, রাজ্যের ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হয়নি। নৈহাটি কেন্দ্রে সিপিএমের বদলে প্রার্থী দিয়েছে জোট শরিক সিপিআই ( এম এল ) লিবারেশন। অপরদিকে নৈহাটি কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী করা হয়েছে রক্ত আন্দোলনের নেতা পরেশ নাথ সরকারকে। একদা লালপার্টির বিরুদ্ধে লড়াই করা বর্ষীয়ান নেতা পরেশ বাবুর ওপর আস্থা রেখেছে জাতীয় কংগ্রেস। প্রাক্তন রেল কর্মচারী তথা নৈহাটির ভূমিপুত্র পরেশ নাথ সরকার বুধবার নৈহাটির সাহেবকুঠি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, বহু ভোট যুদ্ধের সেনাপতি তিনি। তাঁর হাত ধরে কেউ বিধায়ক, কেউ পুরপ্রধান, আবার কেউ সিআইসি হয়েছেন। রেল কর্মচারী হবার সুবাদে তিনি কোনওদিন ভোটে লড়েন নি। কিন্তু ভোট যুদ্ধের সেনাপতি ছিলেন। এবারে দল তাঁর ওপর আস্থা রেখেছে। পরেশ বাবুর ধারনা, নৈহাটি কেন্দ্রে টাফ লড়াই হবার সম্ভাবনা হয়েছে। মানুষ যদি ভোট দিতে পারেন। তাহলে অনেক হিসেব নিকেশ উল্টে যাবে। রুগ্নদশায় পরিণত গৌরীপুর শিল্পতালুক নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বললেন, গৌরীপুর শিল্পনগরী এখন শ্মশান নগরীতে পরিণত হয়েছে। রঙ কারখানা থেকে শুরু করে সিসি কোম্পানি, পাওয়ার প্ল্যাট বহু বছর আগে বন্ধ হয়ে গেছে। ধুঁকছে নদীয়া জুটমিল। গৌরীপুর জুটমিল ফাঁকা মাঠে পরিণত হয়েছে। শাসকদলের মদতে বন্ধ মিলের যন্ত্রাংশ লুট হয়ে গিয়েছে। তাঁর দাবি, মিল বন্ধের পর অনেকেই আত্মহত্যা করেছেন, অনেক শ্রমিকের অনাহারে মৃত্যু হয়েছে। শ্রমিক সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ১২০০। তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি গৌরীপুরে এসে মিল খোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।।কিন্তু গৌরীপুর জুটমিল আজও খোলে নি। পরেশ বাবুর কথায়, মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে তিনি বিধানসভায় যেতে পারলে বন্ধ কলকারখানা খোলার চেষ্টা করবেন। আর অরবিন্দ রোডের ব্যবসায়ীদের দুর্দশা ঘোচানোর চেষ্টা করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *