জলপাইগুড়ি : শীতের বিদায়ের সঙ্গেই ধীরে ধীরে তাপমাত্রার পারদ চড়ছে। আর এই গরম পড়তে না পড়তেই শুরু হয়েছে মশার অত্যাচার। শহর কিংবা গ্রাম – সব জায়গাতেই মশার উৎপাত উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে। মশার কামড়ে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ ছড়িয়ে পড়ছে, কেউ কেউ প্রাণ হারাচ্ছেন মশাবাহিত জ্বরে।
এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভি.আর.পি (VRP) টিম এক বিশেষ সচেতনতামূলক প্রচার শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে চেংমারি শিশু নিকেতন প্রাঙ্গণে এক সচেতনতামূলক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়, যেখানে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক- অভিভাবিকারা সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে ভি.আর.পি প্রতিনিধি দেবপ্রসাদ রায় উপস্থিত সকলকে মশার বংশবৃদ্ধি রোধে করণীয় বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, “গরমের শুরুতে মশার উপদ্রব বাড়ে, বর্ষাকালে তা আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। বৃষ্টির জমা জলই মশার প্রজননের প্রধান ক্ষেত্র। তাই এখন থেকেই সচেতনতা বাড়ানো দরকার, যাতে বিপদ এড়ানো যায়।”
তিনি আরও জানান, পরিত্যক্ত টায়ার, ফুলের টব, ফ্রিজের পেছনে জমা জল, নালা-নর্দমায় জমে থাকা আবর্জনা – এসব জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার করলেই মশার বিস্তার রোধ করা সম্ভব।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকরাও এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। “শুধু সরকারি প্রচেষ্টা নয়, আমাদের সবার দায়িত্ব নিতে হবে। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখা, জমা জল অপসারণ করা, মশারির ব্যবহার করা – এসব ছোট ছোট অভ্যাসই বড় বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে,” বললেন এক অভিভাবক।
রাজাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের এই সচেতনতামূলক কর্মসূচির ফলে এলাকায় মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এই উদ্যোগ শুধু একদিনের জন্য নয়, বরং প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত করলেই প্রকৃত সুফল মিলবে।