মর্মান্তিক : মাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হলো মা ও ছেলের

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২৪ সেপ্টেম্বর’২৩ : বাড়ির বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল দুইজনের। মৃতরা সম্পর্কে মা ও ছেলে। মৃতরা হলেন টিঙ্কু রায় (৪০) ও ননীবালা রায় (৬০)। জলপাইগুড়ি শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের আদর পাড়ার ঘটনা। রবিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে দাবি পরিবারের।

জানা গেছে, এদিন সকালে বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হন বৃদ্ধা ননিবালা রায়। পাশের ঘরে থাকা মায়ের আর্ত চিৎকার শুনে বাঁচাতে যান ছেলে টিঙ্কু রায়। তিনিও বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুজনকে মৃত বলে ঘোষনা করেন চিকিৎসকরা। টিঙ্কু বাবুর স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে ঘটনার সময় উপস্থিত থাকলেও অল্পের জন্য রক্ষা পান তারা।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিদ্যুৎ দফতর ও কোতোয়ালি থানায় পুলিশ। বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে জন্য পাঠাল পুলিশ। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। এরপর বিদ্যুৎ দফতরে অভিযোগ জানায় পরিবার। রাতেই এসে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা বাড়ির বিদ্যুৎতের লাইন ঠিক করে দিয়ে চলে যায়। এ দিন সকালে পড়শিরা চিৎকার শুনে ছুটে আসেন।

সম্পূর্ণ বাড়ি শর্টসার্কিট হয়ে ছিল বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। প্রতিবেশী পরিতোষ সরকার বলেন,”চিৎকার শুনে এসে দেখি এই ঘটনা। বাড়ির গেট ধরা যাচ্ছিলো না বিদ্যুতের শক দিচ্ছিল। বাড়িতে আরও তিনজন ছিল। এরপর পুলিশ ও বিদ্যুৎ দফতরে কর্মীরা আসেন।

Mother and son died due to electrocution while trying to save the mother

বিদ্যুতের লাইন কেটে মৃতদের উদ্ধার করে।” আর এক প্রতিবেশী ঋষিকেশ বর্মনের দাবি, বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের ভুলে গোটা বাড়ি শর্ট সার্কিট হয়ে এই দুর্ঘটনা। যদিও বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের দাবি বাড়ির ভেতরের ওয়ারিং এর গন্ডগোলের কারনে এই ঘটনা। পুলিশ জানায়, দুজনের মৃত্যু হয়েছে ইলেকট্রিক শকে। তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *