সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৯ মার্চ’২৪ : সরকারি নির্দেশে অ্যাসেসমেন্ট শুরু হয়েছে জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডে। জানা গিয়েছে, প্রত্যেকের অ্যাসেসমেন্টের পরিপেক্ষিতে পুর কর দিতে হয় নাগরিকদের। কিন্তু তথ্য লুকিয়ে কর ফাঁকি দিচ্ছেন অনেকে, এই ধরণের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে পুর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। জলপাইগুড়ি পুরসভার মোট ২৫টি ওয়ার্ড, প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের বসবাস। সরকারি নিয়ম অনুসারে সাত বছর অন্তর অন্তর পুর এলাকায় অ্যাসেসমেন্ট হওয়ার কথা।
কোনো বাড়িকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে আবার কোনো বাড়ি বসতবাড়ি হিসেবে রয়েছে এই ধরণের বাড়ির পুর কর আলাদা হওয়ার কথা। কিন্তু বসতবাড়িকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান চললেও কর দিচ্ছেন না পুর নাগরিকদের বড় অংশ বলে অভিযোগ। অন্যদিকে বসত বাড়ির কর দিয়ে বাড়ি ভাড়া দেওয়া হচ্ছে পুরসভার নাম জারি না করে। এর জেরে পুরসভার কর না পাওয়ার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি। এই কারণে অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে সব তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়েছে বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের। শুধু তাই নয় পুরসভায় বাইরে থেকে এসে কারা ভাড়া থাকছেন সেই তথ্য সংগ্রহ থাকা প্রয়োজন বলে দাবি। এই বিষয়ে পুরপ্রধান পাপিয়া পাল বলেন,”পুর এলাকার ২৫টি ওয়ার্ডে।অ্যাসেসমেন্টের কাজ শুরু হয়েছে। বাড়িতে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান করা হয়েছে কিনা সব তথ্য সরজমিনে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারপরেই নতুন করে পুর কর ধার্য্য করা হবে।”