জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ি শহরের হাকিমপাড়ার এক বেসরকারি ক্লিনিক থেকে শনিবার গভীর রাতে উদ্ধার হয় ২৮ বছরের রাহুল ঝাঁর ঝুলন্ত দেহ। পেশায় তিনি ছিলেন ওই ক্লিনিকের কর্মী। হঠাৎ এই মৃত্যুর ঘটনায় স্তব্ধ পরিবার ও ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ উঠেছে, আত্মহত্যার প্ররোচনার আড়ালে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের ভূমিকা রয়েছে।

রবিবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে দেহ নিয়ে ক্লিনিকের সামনে বিক্ষোভে শামিল হন মৃতের পরিবার ও স্থানীয়রা। মুহূর্তেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। হাসপাতাল রোডে অবরোধ, পুলিশের ঘেরাও, বচসা—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাহুল ও তাঁর ভাই ক্লিনিকেই থাকতেন। শনিবার রাতে দোতলার একটি ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করা হয়। সাড়া না মেলায় দরজা ভেঙে দেখা যায়, সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে রাহুলের নিথর দেহ। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ আসে এবং গোটা ক্লিনিক সিল করে তদন্ত শুরু করে।

মৃতের এক পরিজনের বক্তব্য, “আমার ভাই খেটে খাওয়া মানুষ ছিল। এই ক্লিনিকেই সব দিত, অথচ ওকে মানসিকভাবে চাপে রেখে শেষ করে দেওয়া হল। আমরা ন্যায়ের লড়াই চালিয়ে যাব।”
রাহুলের অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে হাকিমপাড়ায়। তবে এ মৃত্যু নিছক আত্মহত্যা নাকি এর নেপথ্যে আরও কোনো অন্ধকার রহস্য লুকিয়ে আছে, তা এখন পুলিশের তদন্তেই পরিষ্কার হবে।