জলপাইগুড়ি: তিস্তা নদীতে মাছের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ির সারদাপল্লী ২ নম্বর স্পার এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে নদীর জলে ঝাঁকে ঝাঁকে মৃত মাছ ভেসে ওঠে, যা দেখে স্থানীয়রা তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেন। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, নদীর জলে বিষ বা কীটনাশক মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে একসঙ্গে এত মাছের মৃত্যু হয়েছে।
এদিন সকাল থেকেই তিস্তার জলে মৃত অবস্থায় ভেসে উঠতে দেখা যায় বোরলি, খোকসা, আর, বোয়াল-সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। মুহূর্তের মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় মানুষজন মাছ ধরতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন।

স্থানীয়দের দাবি, কোনো দুস্কৃতকারী তিস্তা নদীর জলে বিষ বা কীটনাশক মিশিয়ে দিয়েছে, যার ফলে এত মাছ মারা গিয়েছে। মৎস্য দপ্তরের আধিকারিক অম্লান দাসগুপ্ত ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, “আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা না করে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়, তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, জলে বিষ মেশানো হয়েছে। সাধারণ মানুষকে এ ধরনের মাছ খেতে নিষেধ করা হচ্ছে।”
মৎস্য দপ্তরের পক্ষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে, যাতে কেউ এই মৃত মাছ না খান। পাশাপাশি, সচেতনতা প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের কাজ না করতে পারে।
মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই নদীর জল ও মৃত মাছের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। পরীক্ষার পরই স্পষ্ট হবে, এটি দূষণের কারণে হয়েছে, নাকি অন্য কোনো চক্রান্তের ফল।
তিস্তা নদীতে মাছের এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।