জলপাইগুড়ি, ১৬ জুন: “রান্না করি আমরা, অথচ নিজেদের পেটে নেই আশ্বাসের ভাত”—এই বেদনামিশ্রিত স্লোগান তুলে সারা বাংলা মিড ডে মিল কর্মী ইউনিয়ন আগামীকাল, ১৭ জুন কলকাতার নবান্ন অভিযান সংগঠিত করতে চলেছে।
জলপাইগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো মিড ডে মিল কর্মী ইতিমধ্যেই প্রস্তুত, যারা একদিনে স্কুলের হাজারো ছাত্রছাত্রীর মুখে খাবার তুলে দেওয়ার দায়িত্বে থাকলেও নিজেরাই বছরের মাত্র দশ মাস মাইনে পান, তাও মাত্র ২০০০ টাকা করে।
আজ জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় পোস্টারিং ও প্রচারে শামিল হন ইউনিয়নের সদস্যরা। স্কুল-বিদ্যালয়ে রাঁধুনির ভূমিকায় থাকা এই কর্মীরা সরাসরি দাবি জানিয়েছেন— অবিলম্বে ১২ মাসের পূর্ণ বেতন দিতে হবে এবং মাসিক ন্যূনতম ১৫,০০০ টাকা বেতন নির্ধারণ করতে হবে।
তাদের আরও দাবি: মিড ডে মিল কর্মীদের সরকারি কর্মীর স্বীকৃতি দিতে হবে, পিএফ, পেনশন, বোনাস এবং অবসরকালীন ৫ লক্ষ টাকা ভাতা দিতে হবে, ২৫ জন ছাত্র পিছু ১ জন কর্মী নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে, বরাদ্দ বাড়িয়ে মিড ডে মিল প্রকল্পকে আরও সুসংহত করতে হবে, কোনও বিদ্যমান কর্মী বা গ্রুপকে ছাঁটাই না করে কর্মে বহাল রাখা হোক
এই দাবিগুলিকে সামনে রেখেই আগামীকাল কর্মীদের জমায়েত হবে কলকাতার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে, সেখান থেকে পদযাত্রা করে নবান্ন অভিযান।
ইউনিয়নের জলপাইগুড়ি জেলা নেতৃত্ব জানিয়েছেন—এটি শুধু একটি দাবি আদায়ের আন্দোলন নয়, বরং সম্মান, ন্যায্যতা ও জীবিকার অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। মুখ্যমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদানই হবে এই আন্দোলনের পরবর্তী ধাপ।
আগামীকাল নবান্নে উঠবে হাজারো কণ্ঠের একটিই আওয়াজ—”রাঁধুনির প্রাপ্য দাও, স্বীকৃতি দাও!”