জলপাইগুড়িতে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস উদযাপন

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২৮ ফেব্রুয়ারি’২৪ : কুসংস্কার রোধ করতে এবং বিজ্ঞান চেতনা বাড়াতে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস পালন করল পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটি। বুধবার শহরের কদমতলা গার্লস হাইস্কুলে এক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ছাত্রীদের বিজ্ঞান বিষয়ে সচেতন করা হয়। ২৮শে ফেব্রুয়ারি জাতীয় বিজ্ঞান দিবসে জলপাইগুড়ি বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ছাত্রছাত্রীদের বিজ্ঞান মডেল প্রদর্শনী করা হয়। ১৯২৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ড. সিভি রমন ঘোষণা করেছিলেন তাঁর নতুন আবিষ্কারের কথা। তবে সেই আবিষ্কারের কথা বলতে গেলে পিছিয়ে যেতে হবে আরও কয়েক বছর। ১৯২১ সালে লন্ডন থেকে দেশে ফিরছিলেন ভারতীয় এই পদার্থবিজ্ঞানী। সেসময় সমুদ্রের নীল জল দেখে তাঁর মনে প্রশ্ন জাগে, কেন জলটা নীল। বিশেষ বর্ণচ্ছটার কারণে আকাশের বর্ণ নীল। সমুদ্রের রঙের পিছনেও কি তেমনই কিছু রয়েছে? সেই শুরু ভাবনা। দীর্ঘ সাতবছর শেষে আবিষ্কৃত হয় রমন এফেক্ট। কী এই সূত্র? এই সূত্র বলে, যখনই আলো একটি স্বচ্ছ মাধ্যমে ভ্রমণ করে, তখন পুনঃনির্দেশিত আলোর অংশ তার বর্ণালী ও তীব্রতার পরিবর্তন ঘটায়। বিজ্ঞানী ড. সিভি রমন ১৯০৭-১৯৩৩ সাল পর্যন্ত কাজ করেছিলেন কলকাতার ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্সে। এই মহান কৃতিত্বের জন্য তাঁকে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। ড. সিভি রমন প্রথম ভারতীয়, যিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। ১৯৮৬ সালে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কমিউনিকেশন ভারত সরকারকে সুপারিশ করেছিল ২৮শে ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস হিসেবে ঘোষণা করার। ভারত সরকারের সম্মতিতে ১৯৮৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার পালিত হয় জাতীয় বিজ্ঞান দিবস। এরপর থেকে প্রতিবছর এদিন পালিত হয়ে আসছে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *