ভাড়াটে খুনী এনে মামাকে খুন করালো ভাগ্না! চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ির ধুপগুড়িতে।

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২৮ জুলাই’২৩ : ভাড়াটে খুনি এনে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে জলপাইগুড়ি ধুপগুড়ির আংরাভাষা এলাকায়। মৃতের নাম মেহতাব আলম। আহত তাঁর স্ত্রী মৌমিতা দাস। পুলিশ তদন্তে নেমে বিহারের দুই মহিলা সহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বিহারের বাসিন্দা আফতাব আলম। জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন আংরাভাষা সজনাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মেহতাব আলম।

এরপর রাত আনুমানিক ২ টা নাগাদ কয়েকজন পুরুষ ও দুই মহিলা দরজা ভেঙ্গে তার ঘরে ঢুকে পড়েন। এরপর আচমকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেহতাব আলমের ওপর চড়াও হন তারা। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই লুটিয়ে পড়েন মেহতাব আলম। স্বামীকে বাঁচাতে এসে ঘটনায় জখম হন মৌমিতা দাস। তবে কোনমতে সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় মেহতাব আলমের দুই সন্তান। এরপর স্থানীয়রা সেখানে ছুটে আসে। ততক্ষণে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। খবর পাওয়া মাত্র রাতেই ঘটনাস্থলে আসে ধূপগুড়ি থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। এরপর রাতভর বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে সকাল পর্যন্ত ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মেহতাব আলমের ভাগ্না আফতাব আলম সহ ছয়জনকে আটক করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিহারের বাসিন্দা বলে সুত্র মারফত জানা গেছে।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন মেহতাব আলমের দুই সন্তান। পাশাপাশি আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাবাসীদের মধ্যেও। অন্যদিকে মেহতাব আলমের স্ত্রী মৌমিতা দাস বর্তমানে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে এই ঘটনায় আরো কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা, কি কারনে এই ঘটনা সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার খন্ডবাহালে উমেশ গনপত বলেন,”মৃত ব্যক্তি বিহারের বাসিন্দা ছিলেন। সেখান থেকে পরিকল্পনা করে ছয়জন এসে খুন করে পালানোর চেষ্টা করে। প্রথমে একজনকে গ্রেপ্তার করার পর আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা পরিকল্পনা করে খুন করতে এসেছিলেন জানা গেছে। কি কারণে খুন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পুলিশ ধৃতদের আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাদ করবে বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *