দার্জিলিং : পাহাড়ে ফের এল খুশির খবর। তোপকেদাড়া প্রজনন কেন্দ্রে জন্ম নিল দু’টি স্নো-লেপার্ড শাবক। মা ‘রের’ ও বাবা ‘নামকা’-র গর্বিত সন্তানেরা এখন দার্জিলিং চিড়িয়াখানার নতুন উজ্জ্বল মুখ।

গত ১৩ মে জন্মানো এই দু’টি স্নো-লেপার্ড শাবক যেন পাহাড়ের বুকে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের এক নতুন আশার আলো। জন্মের পর থেকেই ক্যামেরার নজরদারিতে রয়েছে মা ও সন্তানরা। ইতিমধ্যেই সেই ভিডিয়োতে ধরা পড়েছে শাবকদের খেলাচ্ছলে মাতোয়ারা হওয়া — যা মন জয় করেছে নেটিজেনদেরও।

এই মুহূর্তে চিড়িয়াখানায় স্নো-লেপার্ডের সংখ্যা দাঁড়াল ১৩। যার মধ্যে রয়েছে চার পুরুষ, সাত মহিলা ও সদ্যোজাত দুটি শাবক। প্রজনন ও সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া এই চিড়িয়াখানার জন্য এটি একটি নতুন মাইলস্টোন। এর আগে ২০২৪ সালের ৩১ অগস্টও জন্ম নিয়েছিল দুই স্নো-লেপার্ড শাবক। রেড পান্ডা ও স্নো-লেপার্ডের মতো বিপন্ন প্রজাতির টিকে থাকার লড়াইয়ে দার্জিলিং চিড়িয়াখানার এই অবদান নিঃসন্দেহে অনন্য।

রাজ্যের বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, “এটা গর্বের খবর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকৃতি সংরক্ষণে দায়বদ্ধতার ফলেই এই সাফল্য। আগেরবার তিনি শাবকদের নাম দিয়েছিলেন ‘চার্মিং’ ও ‘ডার্লিং’। এবারও তাঁর হাতে নামকরণ হলে সেটা আরও স্মরণীয় হবে।”
সব ঠিক থাকলে আগামী দুই মাসের মধ্যেই এই দুটি খুদে তুষার-রাজপুত্র বা রাজকন্যাকে দেখতে পাবেন পর্যটকরা। পাহাড়ের কোলে এ যেন প্রকৃতির এক অবাক করা উপহার।