ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের নেতৃত্বে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থায় নতুন দিগন্ত

পিনাকী রঞ্জন পাল : ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের বিশ্বব্যাপী ক্ষমতাধর নেতৃত্বে বসার দৃষ্টান্ত ক্রমেই সুপ্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। তুলসী গ্যাবার্ড এবং কাশ্যপ প্যাটেলের সাম্প্রতিক নিয়োগ সেই ধারায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। একজন ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রধান এবং অন্যজন এফবিআই ডিরেক্টর হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ প্রশাসনিক কাঠামোয় তাদের অন্তর্ভুক্তি শুধু গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং তা গোয়েন্দা ও তদন্ত ব্যবস্থায় নতুন দিশা আনতে সক্ষম হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

তুলসী গ্যাবার্ড: ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের শীর্ষে

তুলসী গ্যাবার্ড, যিনি এর আগে হাওয়াই থেকে কংগ্রেসে প্রতিনিধিত্ব করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের (National Intelligence) প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তার দায়িত্ব হবে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ এবং সরকারের নীতি-নির্ধারণে সহযোগিতা করা। এই সংস্থা গোটা পৃথিবী জুড়ে তথ্য সংগ্রহ করে এবং ১৮টি সংস্থার কার্যক্রম সমন্বয় করে। এটি কেবল জাতীয় নিরাপত্তা নয়, আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও বড় ভূমিকা পালন করে। উল্লেখ্য, তুলসী তাঁর দায়িত্ব বুঝে নেবেন আগামী জানুয়ারি মাসে।

কাশ্যপ প্যাটেল: এফবিআই-এর নেতৃত্বে নতুন অধ্যায়

৪৪ বছর বয়সী কাশ্যপ প্যাটেল, একজন আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ, ট্রাম্প প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। এফবিআই-এর মতো সংস্থার প্রধান হিসেবে তার নিয়োগ অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং দুর্নীতি দমনে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। কাশ্যপকে নতুন দায়িত্ব দেবার কথা ঘোষণা করে ট্রাম্প বলেছেন,” এফ বি আই ডিরেক্টর পদে কাশ্যপের নাম ঘোষণা করছি। তাঁকে এই পদে বসাতে পেরে আমি সত্যি গর্বিত। দুর্নীতি দমন এবং মার্কিন নাগরিকদের রক্ষার কাজে কাশ্যপ সফল হবে, এই দৃঢ় বিশ্বাস আমার আছে।” উল্লেখ্য,এফবিআই-এর কাজ মূলত দেশীয় তদন্ত, সন্ত্রাসবাদ দমন এবং অপরাধমূলক কার্যক্রম প্রতিরোধ করা। কাশ্যপ প্যাটেল আগামী জানুয়ারিতেই তাঁর দায়িত্ব বুঝে নেবেন।

ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের ক্রমবর্ধমান প্রভাব

কাশ্যপ এবং গ্যাবার্ডের মতো ভারতীয় বংশোদ্ভূত নেতাদের যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক কাঠামোয় শীর্ষ পদে বসানোর সিদ্ধান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়। এটি শুধুমাত্র তাদের ব্যক্তিগত সাফল্যের প্রতীক নয়, বরং প্রবাসী ভারতীয় সম্প্রদায়ের জন্য একটি গর্বের বিষয়।

তাদের নেতৃত্ব গোয়েন্দা সংস্থা এবং তদন্ত ব্যবস্থায় পেশাদারিত্ব, দক্ষতা এবং নতুন কৌশল আনতে সক্ষম হবে। এই নিয়োগগুলি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের অবদানকে আরও সুদৃঢ় করে তুলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *